আরামদায়ক ঘুম পেতে করণীয়

আরামদায়ক ঘুম পেতে করণীয়।

রাত গভীর হয়, ঘুমিয়ে পড়ে পুরো মহল্লা। শুধু ঘুম নেই আপনার দুই চোখে। এভাবে ধীরে ধীরে ঘুমের জন্য হয়তো আপনি ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ঠিকভাবে ঘুম হয়না বলে সব কাজেই দেখা দেয় ক্লান্তি। ভালো কথাও বিরক্তিকর লাগে তখন। নিজেকে মনে হয় অসহায় কেউ। কিন্তু এমনটা চলতে থাকলে মুশকিল। একটা সময় পুরো পরিস্থিতি সামলানোই দায় হয়ে যাবে। তাই আগেভাগেই জেনে নিন এর কারণ ও সমাধান-

কারণ :
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের তুলনায় নারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন এবং বয়স যত বাড়ে তত তা ঘনীভূত হয়। কিন্তু আজকাল কম বয়সীদের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা দিচ্ছে এবং তার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ওবেসিটি আর স্ট্রেস।
ওজন বেশি হলে ঘুমের মধ্যে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, ফলে বারবার ঘুম ভাঙে। তাছাড়া থাইরয়েড, অ্যানিমিয়া, মেনোপজাল হট ফ্লাশ, ডিপ্রেশন বা অম্বলের সমস্যা থাকলেও ঘুম ভাঙতে পারে একাধিকবার। সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে খতিয়ে দেখুন, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে সমাধান খুঁজুন। না ভেবেচিন্তে ঘুমের ওষুধের দ্বারস্থ হবেন না।

সমাধান

ঘুমের সাইকেলটাকে রি-সেট করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন আপনাকে খানিকটা ব্যায়াম করতেই হবে, ঘুমের সমস্যা তাড়ানোর অন্য কোনও রাস্তা নেই। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করুন।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দু’ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন। যাদের বার বার বাথরুমে যাওয়ার জন্য উঠতে হয় তারা শুতে যাওয়ার আগেই একগাদা জল খাবেন না। দিনের শুরু থেকে পানি পান আরম্ভ করুন, সন্ধ্যার মধ্যে পানি পান করার পালা চুকিয়ে দিন, ফারাকটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

দিনের বেলা কোনো অবস্থাতেই ঘুমোবেন না। নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে চা-কফি বা মদ্যপানের ক্ষেত্রেও। রাতে শোওয়ার আগে টিভি দেখা বা ওয়েব সিরিজে মনোযোগ দেওয়া বন্ধ করুন, ল্যাপটপ খুলে অফিসের কাজ তো মোটেই চলবে না।

ফোন বন্ধ করে দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। বরং বই পড়তে পারেন, খুব কম ভলিউমে মিউজিক শুনলে বা মেডিটেশন করলেও অনেকের ক্ষেত্রে ভালো কাজ হয়। রোজ নির্দিষ্ট সময়ে শুতে যান ও ঘুম থেকে উঠুন। ছুটির দিনেও এই নিয়ম বদলাবেন না।

বিছানায় শোওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেও যদি ঘুম না আসে, টেনশন করবেন না। নিজেকে একটু সময় দিন।

রাতে হালকা খাবার খান, ঘুমের আগে খিদে পেলে সামান্য দুধ বা এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন অবশ্য।

আপনার শোওয়ার ঘরের আলো কম রাখুন, তা শীতল রাখাও জরুরি। এসিতে যারা শুতে পছন্দ করেন না, তারা আলো-বাতাস খেলে এমন ঘরে শোওয়ার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে সঠিক বিছানা আর বালিশে বিনিয়োগ করাটাও খুব দরকারী।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.