ত্বকে চন্দন তেল ব্যবহার করলে যা হয়

ত্বকে চন্দন তেল ব্যবহার করলে যা হয়।

রূপচর্চার উপাদানগুলোর মধ্যে উপরের দিকেই আছে চন্দনের নাম। চন্দনের তেল স্ক্যাল্পে নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো থাকে চুলের স্বাস্থ্য। এর মৃদু সুগন্ধের প্রভাবে নার্ভ শীতল হয়, রাতে ঘুমও হয় ভালো। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়, তা হলে চন্দনের তেল বা পেস্ট ব্যবহার করুন নিশ্চিন্তে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চন্দনের গুঁড়ো আর মুলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকে চন্দনের তেল ব্যবহার করলে কী হয়-
রোদে পোড়া ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে চন্দনের ব্যবহার করুন। চন্দনের তেলে আলফা স্যানটালোল নামক একটি উপাদান থাকে যা মেলানিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। ত্বক উজ্জ্বল করে তোলার নানা ক্রিমেও চন্দনের তেলের ব্যবহার দেখা যায়।

চন্দনের তেলে এমন কিছু উপাদান থাকে যা অক্সিডেটিভ এনজাইমে সমৃদ্ধ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে দারুণ কার্যকর। যেসব কেমোকাইন ও সাইটোকাইনের প্রভাবে ইনফ্লামেশন বাড়ে, তার উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে চন্দনের তেল। সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা সারাতেও চন্দনের ব্যবহার হয়। তবে চন্দনের তেল কখনো সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়, সবসময় নারিকেল,আমন্ড, অলিভ বা অন্য কোনো ক্যারিয়ার অয়েলের সঙ্গে তা মিশিয়ে নেবেন।

চন্দনের তেলে অ্যান্টিসেপটিক তত্ত্ব থাকে বলেই তা ব্রণ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যালার্জি বা চুলকানি নিয়ন্ত্রণেও এর ব্যবহার হয়। সামান্য হলুদ, কর্পূর আর চন্দনের প্রলেপ সারা রাত লাগিয়ে রাখলে ব্ল্যাকহেডস আর ব্রণের সমস্যা থেকে নিশ্চিতভাবেই মুক্তি পাবেন।

ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয় মূলত তিন-চারটি কারণে। তার মধ্যে আছে আর্দ্রতার অভাব, সূর্যালোক, দূষণ ও ধুলো। খুব ভালো করে মুখ পরিষ্কার করলেও তার ক্ষতিকর প্রভাব পুরোপুরি মুছে ফেলা যায় না। তাই চন্দনের গুঁড়া, ডিমের সাদা অংশ আর মধু মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন মুখে। ত্বক টানটান ও ঝলমলে থাকবে।

চন্দনের তেলের অপূর্ব গন্ধ আপনাকে ঘিরে রাখবে অনেক বেশিক্ষণ, ডিওডোরান্ট বা পারফিউমের অতিরিক্ত ব্যবহার কমাতে চাইলে চন্দনের উপর আস্থা রাখতে পারেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.