দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। গতকাল রোববার দেশটি বলেছে, দ্বীপ তৈরি করে তারা নিজেদের সার্বভৌম ক্ষমতারই কেবল চর্চা করছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও ‘সহযোগিতা’ করছে। খবর এএফপির।
সিঙ্গাপুরে সাংগ্রি লা ডায়ালগ নামে পরিচিতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সম্মেলনে এ কথা বলেন চীনের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ অ্যাডমিরাল সান জিয়ানগুয়ো। এই সাংগ্রি লা ডায়ালগেই গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার অবিলম্বে দ্বীপ নির্মাণ বন্ধ করতে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান।
বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে চীন কৃত্রিমভাবে দ্বীপ নির্মাণ করায় যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দফা উষ্মা প্রকাশ করেছে। ওই দ্বীপে চীন বহনযোগ্য অস্ত্র স্থাপন করেছে বলেও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
অ্যাডমিরাল সান জিয়ানগুয়ো সম্মেলনে বলেন, ‘সার্বিকভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল। কাউকে নৌযান চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। চীন সাগরের কিছু দ্বীপে নির্মাণকাজ করছে। এর উদ্দেশ্য—এসব দ্বীপকে আরও কার্যকর করে তোলা। সেখানে যেসব সামরিক কর্মকর্তা থাকেন, তাঁদের থাকার এবং কর্মপরিবেশের উন্নয়নের জন্যই এসব কাজ করা হচ্ছে।’
অ্যাডমিরাল জিয়ানগুয়ো আরও বলেন, প্রতিরক্ষা কর্মকাণ্ডের জরুরি কিছু প্রয়োজন মেটানো ছাড়াও কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের আরও কিছু কারণ আছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে দায়িত্বের অংশ হিসেবে সামুদ্রিক সম্পদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, দুর্যোগ প্রশমন, সামুদ্রিক বিষয়ে গবেষণা, পরিবেশ সুরক্ষা, নৌ-চলাচলে সুরক্ষা প্রদান এবং মৎস্য সম্পদের উন্নয়নের কাজও এর লক্ষ্য।’
চীন দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটাই নিজের বলে দাবি করে। এর জলসীমা নিয়ে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের সঙ্গে দেশটির বিরোধ রয়েছে। এই সাগর দিয়েই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক নৌ-চলাচল হয়। দক্ষিণ চীন সাগরের ভূগর্ভে প্রচুর তেল ও গ্যাস আছে বলেও মনে করা হয়।
চীনা নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল তাঁর ভাষণে আরও বলেন,‘সমুদ্রসীমার বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনায় চীন সমুদ্রপথের নিরাপত্তা বিষয়টি সব সময় বিবেচনায় রাখে। দক্ষিণ চীন সাগরে অধিকারের ঐতিহাসিক এবং আইনি পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকলেও চীন এই বিরোধে যথেষ্ট সংযম বজায় রেখেছে।
আরও খবর