বড় ধরনের জয়ের টার্গেট হিলারি-ট্রাম্পের

hilary & trump pic_123497যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লড়াইয়ে বড় ধরনের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেমোক্রেট ফ্রন্ট-রডহ্যাম হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সর্বশেষ প্রাইমারি বা ককাস নির্বাচনে দলীয় প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন এ দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। ফলে ওই প্রতিদ্বন্ধীদের পিছনে ফেলে বড় জয় এখন তাদের টার্গেট। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চল হিলারি ও ট্রাম্পের জন্য বন্ধুভাবাপন্ন হিসেবে দেখা হয়।

গতকাল রোববার তারা দু’জনেই নিউ ইয়র্কে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। এ রাজ্যে প্রাইমারি নির্বাচন আগামী ১৯শে এপ্রিল। এখানে রয়েছে ডেমোক্রেট দলের ২৯১টি ডেলিগেট। তার ভিতর থেকে হিলারি ক্লিনটন বেশির ভাগই অর্জন করার আশা করছেন। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের রয়েছে এ রাজ্যে ৯৫টি ডেলিগেট। আগামী জুলাইয়ে দু’দলেরই জাতীয় সম্মেলন। তার আগেই ফ্রন্টরানার এ দু’প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেলিগেট সংগ্রহের চ্যালেঞ্জে নেমেছেন। গত মঙ্গলবার উইসকনসিনে দলীয় প্রতিদ্বন্ধী টেড ক্রুজের কাছে হেরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ পরাজয়কে বড় একটি আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে তার জন্য। তাই নিজের রাজ্যে এবার বড় জয় চাইছেন তিনি। বিলিয়নিয়ার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পেতে তাকে কমপক্ষে ১২৩৭টি ডেলিগেটের সমর্থন পেতে হবে। তা থেকে তিনি এখনও অনেকটা পিছনে আছেন। তাই তার প্রচারণা এখন কেন্দ্রীভূত হয়েছে ওই সব রাজ্যে যেখানে ডেলিগেট সংখ্যা বেশি। ওদিকে শনিবার ওয়েমিং রাজ্যে দলীয় প্রতিদ্বন্ধী বার্নি স্যান্ডাসের কাছে অল্প ব্যবধানে হেরেছেন হিলারি ক্লিনটন। তাই এখন তিনি মনোনয়ন লড়াইয়ে তার কমান্ডিং ভূমিকা ফিরে পেতে চাইছেন। এখন বার্নি স্যান্ডার্স কতগুলো রাজ্যে জিতলেন সেটা নিয়ে হিলারির মাথাব্যাথা নেই। তিনি চাইছেন তার টার্গেট পূরণ করতে। তার দলীয় মনোনয়ন পেতে অর্জন করতে হবে কমপক্ষে ২৩৮৩টি ডেলিগেট। এখন পর্যন্ত তিনি অর্জন করেছেন ১৭৭৪টি ডেলিগেট। তার আর দরকার ৬০৯ টি ডেলিগেট। তা সংগ্রহের জন্য তিনিও বড় বড় রাজ্যের দিকে চোখ রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্ক, মেরিল্যান্ড, পেনসিলভ্যানিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ জার্সির মতো রাজ্যগুলো। এর মধ্যে নিউ ইয়র্কে আগামী ১৯শে এপ্রিল তিনি চমক দেখাতে পারবেন বলে আশা করছেন। কারণ, এ রাজ্য থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করছেন। অন্যদিকে বার্নি স্যান্ডার্সের জন্ম ব্রুকলিনে। তাই নিউ ইয়র্ক তার নিজের রাজ্য। তিনিও এখানে বড় জয় আশা করছেন। নিউ ইয়র্ক সিটি চার্চগুলোতে যোগ দেয়ার পর ক্লিনটন ছুটে গিয়েছেন বাল্টিমোরে। মেরিল্যান্ডে তার প্রথম নির্বাচনী সমাবেশকে কেন্দ্র করে এই ছুটে চলা। এ রাজ্যে তিনি বেশ জনপ্রিয়। এখানে প্রাইমারি নির্বাচন ২৬শে এপ্রিল। একই দিন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে পেনসিলভ্যানিয়া, রোড আইল্যান্ড, দেলাওয়ার ও কানেকটিকাটে। এসব রাজ্যে ক্লিনটন বড় জয় পাবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এখানে তিনি বেশ জনপ্রিয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.