ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে এবার মাঠে নেমেছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার পল রায়ান। তিনি অনেক দিন থেকে বলে আসছেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার ব্যাপারে তাঁর কোনো আগ্রহ নেই। স্পিকারের পদ গ্রহণের আগেও তিনি একই কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, সব পক্ষের অনুরোধে এবং সবাই তাঁর শর্তে রাজি হলে তিনি পদটি গ্রহণে সম্মত।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, স্পিকার রায়ান সম্ভবত এবার সেই একই কৌশল অনুসরণ করছেন তাঁর দলের প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন সংগ্রহের ক্ষেত্রে। তা হলে পল রায়ান কি রিপাবলিকান পার্টির ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন?
গত সপ্তাহে পল রায়ানের ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশের পর থেকে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। ওই বার্তায় তিনি দেশকে বিভক্ত করার বদলে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানে তিনি কারও নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর লক্ষ্য যে ডোনাল্ড ট্রাম্প, সে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। ট্রাম্প ‘শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ব’ বিষয়ে কোনো রাখঢাক ছাড়াই অবস্থান নিয়েছেন। তাঁর সেই বক্তব্য আফ্রিকান-আমেরিকান ও হিস্পানিকদের রিপাবলিকান পার্টির বিরুদ্ধে সমালোচনামুখর করেছে, সাধারণ নির্বাচনে যাঁদের উল্লেখযোগ্য সমর্থন ছাড়া সাফল্য অসম্ভব।
প্রশ্ন হলো, পল রায়ান হঠাৎ এমন ভিডিও প্রকাশ করলেন কেন? নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে যখন দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নোংরা যুদ্ধ চলছে, তখন রায়ান রাজনৈতিক মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি ইসরায়েলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলতে। সেখানে ইসরায়েল আমেরিকার প্রধান মিত্র, সে কথা তিনি বারবার বলেছেন সম্ভবত আমেরিকার শক্তিশালী ইহুদি লবির সমর্থন আদায় করতে। দেশে ফিরেই রীতিমতো নির্বাচনী প্রচারণা স্টাইলে তাঁর ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। নিউইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, রায়ানের কার্যালয়ের সদস্যরা বলাবলি করছেন, তিনি প্রয়োজনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে প্রস্তুত।
রায়ান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলে রীতিমতো হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা ও মোটা অঙ্কের চাঁদা প্রদানকারীরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি প্রয়োজনীয় ডেলিগেট সংগ্রহ করতে না পারলে জুলাইয়ে দলীয় সম্মেলনে মনোনয়ন প্রশ্নে রশি টানাটানি হবে।
আরও খবর