আন্তর্জাতিক রুটে বিমানভ্রমণের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স (এএপিএ)।
আন্তর্জাতিক রুট, বিমানভ্রমণ, সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স (এএপিএ)।
সংস্থাটির বক্তব্য, বৈশ্বিক যোগাযোগ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ব্যাপারে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল করার জন্য কাজ করছে এশিয়া প্যাসিফিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইন্ডাস্ট্রি। তারা ৬ মাস ধরে চলা মহামারিতে বন্ধ হওয়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো কিভাবে চালু করা যায় সে বিষয়ে কাজ করছে। এনিয়ে তারা এ অঞ্চলের সরকার, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বসছে, কথা বলছে।
সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ, মহামারিতে দেশের সীমান্তগুলো সহজ না হলে ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে না নিলে মূলত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো চালু কঠিন হয়ে পড়বে।
মহামারিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকট পর্যটন খাতে ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে বিমান সংস্থাগুলো যে সঙ্কটে পড়েছে এবং যেভাবে মানুষ চাকরি হারাচ্ছে তাতে সংকট আরও দীর্ঘ হতে যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো আগের চেয়ে ভাল অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। আস্তে আস্তে চলতি বছরের শেষ নাগাদ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এএপিএ।
সংস্থাটি বলছে, করোনাভাইরাস টেস্ট ও কন্ট্রাক্ট ট্রাসিংয়ের ব্যাপারে দেশে দেশে আগের চেয়ে অগ্রগতি লাভ করেছে। মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি আগের চেয়ে বেশি হচ্ছে। ফলে বিশ্বে বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বিমান ভ্রমণ যাতে আরও সহজ হয় এজন্য এয়ারলাইন্স, বিমানবন্দর ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষসমূহের সঙ্গে কাজ করছে এএপিএ।
সংস্থাটির ডিরেক্টর জেনারেল সুভাশ মেনন বলছেন, করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বে যে জনবিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে তা রোধ করতে সরকারগুলোকে ভ্রমণের গুরুত্ব, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সহায়তা বৃদ্ধি ও সামাজিক কার্যক্রমে গতি আনতে হবে। মহামারি শুধু পর্যটনে আঘাত হানেনি, লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান কেড়ে নিয়েছে। বন্ধ হয়েছে বহু এয়ারলাইন্স। বিমান সংস্থাগুলো যাতে তাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারে সেজন্য আমরা প্রায়োগিক কাজ করছি।