বাংলাদেশী কোম্পানী জেএমআই থেকে ৮ কোটি সিরিঞ্জ কিনবে ইউনিসেফ

বাংলাদেশী কোম্পানী জেএমআই থেকে ৮ কোটি এডি সিরিঞ্জ কিনবে ইউনিসেফ। সম্প্রতি কোম্পানিটর কাছে এই সিরিঞ্জ ক্রয় করার জন্য চাহিদা পত্র দিয়েছে ইউনিসেফ। এছাড়া জেএমআই‌র কাছ থেকে সিরিঞ্জ ক্রয় করার জন্য আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ কয়েক কোটি সিরিঞ্জ ক্রয়ের চাহিদা পত্র দিয়েছে। তবে জেএমআই সুত্রে জানাগেছে আগে কোম্পানীটি বাঙলাদেশের চাহিদা পুরণ করবে। তারপর উদ্বৃত্ত থাকলে সে সিরিঞ্জ ইউনিসেফসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি করবে।

করোনার অভিঘাতে বর্তমানে কিছুটা সংকটে থাকলেও আগামী বছরগুলো বেশ সম্ভাবনাময় অটো ডিজেবল সিরিঞ্জের জন্য। ডাটা ব্রিজ মার্কেট রিসার্চ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের পূর্বাভাসে জানায়, ২০২৮ সালের মধ্যে এ সিরিঞ্জের বাজারের আকার দাঁড়াবে ২ হাজার ৭৪৩ কোটি ডলার। ২০২০ সালে এ সিরিঞ্জের বাজারের আকার ছিল ১ হাজার ৬৯২ কোটি ডলার। ২০২১ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে এ খাতের সিএজিআর দাঁড়াবে ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

গত বছর শুরু হওয়া বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে বিভিন্ন শিল্প খাতের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ সময় চিকিত্সা ও জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী প্রস্তুতকারী শিল্প বাদে অন্য বেশিরভাগ শিল্পই ধুঁকছে। তবে স্বাস্থ্য খাতে ব্যতিক্রম ছিল অটো ডিজেবল সিরিঞ্জ খাত। গত কয়েক বছরে টানা প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও ২০২০ সালে সংকোচনের মুখে পড়ে এ খাতটি।

এইচআইভি, রক্তবাহিত ও ভাইরাল হেপাটাইটিসের মতো সংক্রামক ব্যধির উচ্চ ঝুঁকির বিষয়টি আমলে নিলে আগামী দিনগুলোতে অটো ডিজেবল সিরিঞ্জের বাজার যে সম্প্রসারিত হবে তা স্পষ্ট। বর্তমানে ব্যবহৃত সাধারণ সিরিঞ্জের সুইয়ের অংশ ভেঙ্গে রোগীদের জন্য যে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে এক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে।

অটো ডিজেবল সিরিঞ্জ এর ব্যারেলে একবার চাপ দেয়ার পর তা টেনে আনার সুযোগ না থাকায় একাধিকবার ব্যবহারের ঝুঁকি থাকছে না। একই সিরিঞ্জের একাধিক ব্যবহার ঠেকাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আস্থা অর্জন করেছে এ ধরণের সিরিঞ্জ ।

নতুন পণ্য উন্মোচন, দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও উচ্চহারে গ্রহণের মাধ্যমে অটো ডিজেবল সিরিঞ্জ বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে উত্তর আমেরিকা। ২০২১ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ খাতটি লক্ষ্যণীয় প্রবৃদ্ধি দেখবে বলে পূর্বাভাস ডাটা ব্রিজ মার্কেট রিসার্চের।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.