এভিয়েশন নিউজ: দুনীতির অভিযোগে সাড়ে ৫শ কোটি টাকার প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ প্রত্যাহারের হুমকী দিয়েছে ডেনমার্ক সরকার। হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ‘আপগ্রেডেশন অব শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্প থেকে এই অর্থ বরাদ্ধ প্রত্যাহারের হুমকী দিয়েছে দেশটির সাহায্যদাতা সংস্থা ডানিডা।
জানা গেছে ডেনমার্ক সরকারের পররাস্ট্র দপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশে এসে বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে দেখা করে এই হুমকী দেন। এর আগে এক মাসের মধ্যে প্রকল্প নিয়ে দুনীতি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে একটি চিঠিও দিয়েছিল। চিঠিতে ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য সরকারকে আলটিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু যথাসময়ে চিঠির কোন উত্তর না পেয়ে ডেনমার্ক সরকারের পরারস্ট্র দফতরের একটি প্রতনিধি দল বাংলাদেশে এসে গত ৩০ মার্চ মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে দেখা করে ১ দিনের মধ্যে প্রকল্পে দুনীতি ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করতে সময় দেন। অন্যথা ডেনমার্ক সরকার এবং তাদের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিমান বন্দরের কাজ ফেলে দেশে ফিরে যাবে বলে জানায়।
এই ঘটনায় মন্ত্রনায় ও সিভিল এভিয়েশন জুড়ে তোলপাড় ওঠে। বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেননও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রকল্পটি নিয়ে একটি সিন্ডিকেট দুনীতি ও কমিশন বাণিজ্য করতে চেয়েছিল। ইমেইলে তারা মন্ত্রনালয়ের পক্ষে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ঘুষ দাবি করেছে। একারণে ডেনমার্ক সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকল্প থেকে তাদের অর্থায়ন প্রত্যাহারের হুমকী দিয়েছিল। তবে মন্ত্রী জানান, এই ঘটনায় তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ায় ডেনিস সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দল খুশি হয়ে দেশে ফিরে গেছে। দুনীতির ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার জন্যও তিনি মন্ত্রনালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান। বর্তমানে প্রকল্প কাজ এগিয়ে চলছে বলেও তিনি জানান।
সিভিল এভিয়েশন সুত্রে জানাগেছে এর আগেও এই প্রকল্পটি নিয়ে নানা অনিয়ম-দুনীতি হয়েছিল। সিন্ডিকেট তখন প্রকল্পের সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দাতা সংস্থা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এতে আপত্তি জানালেও কতৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি। তখনও একবার ডানিডা এই প্রকল্পে তাদের অথায়ন করবে না বলে সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল। কিন্তু সিভিল এভিয়েশন কতৃপক্ষ নানা চেষ্টা তদবির করে তাদের আবার ফিরিয়ে আনে। বর্তমানে প্রকল্পের প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় আবারো দুনীতি ও কমিশন বাণিজ্যের তথ্য আঁচ করতে পেরে ক্ষুব্ধ হয় ডেনমার্ক ও তাদের সাহায্যদাতা সংস্থা ডানিডা।
ডানিডার একটি সুত্র জানায় এবারের দুনীতি ও কমিশন বাণিজ্যের বিষয়টি ছিল খুবই রহস্যজনক। এর সঙ্গে সরসরি বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রনালয় ও মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ আমলারা জড়িত থাকতে পারে বলে তারা ধারনা করতে পেরেছে। এ সংক্রান্ত তাদের কাছে বেশ কয়েকটি ইমেইল বার্তা আছে। ওইসব ইমেইলে প্রকারন্তরে তাদের কাছে কমিশন দাবি করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ইমেইল দাতার সঙ্গে কোন যোগযোগ না করায় মন্ত্রনালয় থেকে তাদের অর্থায়নের বিষয়ে ব্যাখ্যা পর্যন্ত তলব করা হয়েছে।
সুত্র জানায় আপগ্রেডেশন অব শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট নামের এই প্রকল্পে মোট ব্যায় ধরা হয়েছিল ৩১১ ডিকেকে অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকার ও ডানিডার মধ্যে জিটুজি চুক্তি হয়। ২০১২ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ডেনমার্কের মাঙ্ক এসফল্ট নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী গত বছরের ২৪ ফেব্রয়ারী মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়। কাজ বাস্তবায়নের শুরুতে টেক্সিওয়ে পেভমেন্ট পুর্ণনির্শানের জন্য টেক্সিওয়েতে সয়েল (মাটি) টেস্ট করা হয়। ওই টেস্ট অনুযায়ী দেখা গেছে টেক্সিওয়ে পুর্ণনির্মাণ কাজের স্থলে প্রায় ১ থেকে ৪ ফুট কাঁদা রয়েছে। টেক্সিওয়ে পেভমেন্ট পুর্ণ নির্মানের জন্য এই কাদা অপসারণ করতে হবে।
কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার পর দেখা গেছে কাদার পরিমান আরো বেশি। যার কারণে অতিরিক্ত কাজ হিসাবে আরো ২৫ মিলিয়ন ডিকেকে অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা বেশি লাগবে। এরপর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ অনুযায়ী অতিরিক্ত কাজের মুল্য বাবদ ২৫ মিলিয়ন ডিকেকে অনুমোদনের জন্য ডেপনমার্কের সাহায্যদাতা সংস্থা ডানিডাকে জানানো হয়। ডানিডার একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে দেশে প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদান করে। ওই রিপোর্টের আলোকে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ডানিডা অতিরিক্ত ২৫ মিলিয়ন ডিকেকে অন্তভুক্ত করণের প্রস্তাব অনুমোদন করে। বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানানোর পর গত বছর ১ নভেম্বর বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রনালয়ও অতিরিক্ত ২৫ মিলিয়ন ডিকেকে অর্থ প্রকল্পে অন্তভুক্ত করে নেয় এবং বাস্তবায়নের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রনালয়কে চিঠি দিয়ে জানান।
কিন্তু হঠাৎ করে গত ১ ফেব্র“য়ারী জনৈক এসএ রহিম নামে এক ব্যক্তি ই-মেইলে প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাঙ্ক এসফলট এর সিইও মরিয়া লরিডসেনের কাছে সাক্ষাত চায়। ইমেইলে রহিম জানায়, মন্ত্রনালয়র শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা তার পরিচিত। কাজেই তার সঙ্গে সাক্ষাত না করলে প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ২৫ মিলিয়ন ডিকেকে অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার অনুমোদন বাতিল করে দেবে মন্ত্রনালয়। ইমেলে বলা হয় টেক্সিওয়ে পেভমেন্ট এর কাজ প্রকল্পের কার্যাদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কাজেই বর্তমান দরেই তাদেরকে এর কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। তাছাড়া বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর।
সিভিল এভিয়েশনের কতিপয় শীর্ষ কর্মকর্তাও এর বিরোধীতা করছে। ইমেইল বার্তায় রহিমের ঠিকানা দেয়া হয় এসএ রহিম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর চার্টার্ড কনসালটেন্স ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা। sa_rahim@bangla.net এই ঠিকানা থেকে পাঠানো ই-মেইলে আরো বলা হয়, যদি তোমরা এই প্রস্তাবে রাজি থাকো তাহলে মন্ত্রনালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকার বরাদ্ধের বিষয়ে তিনি সহযোগিতা করবেন। মরিয়াস ইমেইলটি পরদিন তাদের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা ময়ীনকে ফরোয়াড করেন। লিখেন, একটা আজগুবী মেইল পেয়েছেন। তুমি কি তাকে চেন? উত্তরে ময়ীন- রহিম নামে কাউকে চেনেন না বলে জানালে মরিয়াস রহিমের মেইলের জবাব দেন। তিনি লিখেন প্রিয় রহিম, ধন্যবাদ মে-ইেলের জন্য। কিন্তু আমি তোমাকে চিনি না। কাজেই তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের কোন ইচ্ছা নেই। এরপর রহিম দ্বিতীয়বার মেইলে জানান, ৫০ কোটি টাকা (২৫ মিলিয়ন ডিকেকে) অতিরিক্ত বরাদ্ধের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর।
বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা ছাড়া এই টাকার অনুমোদন কোনভাবেই সম্ভব হবে না। তাছাড়া তোমার পকেট থেকে আমি কোন কিছু নেব না। তুমি অতিরিক্ত বরাদ্ধ থেকে যে এক্সট্রা লাভ করবে সেখান থেকে আমাকে দেবে। কাজেই দ্রুত তোমার সিদ্ধান্ত জানাও। অন্যথা কিছুদিনের মধ্যে মন্ত্রনালয় থেকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘তুমি চাইলে আমাকে ফোন করতে পার। একই সঙ্গে তোমর ফোন নম্বরটিও আমাকে দাও। এবারও ঠেকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে রহিমের মেইলের কোন উত্তর না দিলে রহিম তৃতীয় দফায় মেইল করেন। সেখানে বলেন, আমি মন্ত্রনালয়ের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে অনুমতি নিয়ে তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এবং নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি তোমার সঙ্গে আলোচনা করা দরকার কিছু ব্যবসায়িক কাজে। দয়া করে বিষয়টি দ্রুত জানাও। কিন্তু এবারও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে কোন উত্তর দেয়া হয়নি।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানাগেছে, রহিম নামের ওই ব্যক্তি মন্ত্রনালয়ের পক্ষে ইমেইলে তাদেরকে এই চিঠি দিয়েছে। আর রহিমের এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৮ ফেব্র“য়ারী মন্ত্রনালয় থেকে সিভিল এভিয়েশনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও প্রকল্পটি সম্পর্কে বেশ কিছু ব্যাখ্যা তলব করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বরেছেন, মুলত শোকজ ও রহিমের মেইল দুটো বিষয় একই সুত্রে গাঁথা।
জানা গেছে, শোকজ নোটিশে অহেতুক প্রকল্পটি সম্পর্কে তিনটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষের কাছে। এগুলো হল মাঙ্ক এসফল্ট, ডেনমার্কের সঙ্গে বিদ্যমান যে ঋনচুক্তি আছে তার মধ্যে টেক্সিওয়ে পেভমেন্ট কাজটি অন্তভুক্ত আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে ঠিকাদারকে কেন বেশি অর্থ দেওয়া হবে। কাজের ডিজাইন ও ড্রয়িং এর আগে মাটি টেস্ট করা হয়েছিল কিনা? যদি সঠিক ভাবে করা না হয়ে থাকে তাহলে এর জন্য দায়ী কে? তা চিহ্নিত করে জানানো হোক। সয়েল ইনভেস্টিগেশন সঠিকভাবে করা কি বেবিচকের দায়িত্ব ছিল? যদি দায়িত্ব হয়ে থাকে তাহলে বেবিচক কেন ভুল পরীক্ষার জন্য দায়ি ঠিকাদারকে এই বিশাল পরিমান অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করবে।
মন্ত্রনালয়ের সহকারী প্রধান জিনাত মহল স্বাক্ষরিত নোটিশে জরুরী ভিত্তিতে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বলা হয়। কিন্তু সিভিল এভিয়েশনের একজন বিশেষজ্ঞ জানান, মুলত রহিম নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে মাঙ্ক এসফল্ট কমিশন বাণিজ্য সংক্রান্ত নেগোসিয়েশনে না যাওয়ায় মন্ত্রনালয় এই রহস্যজনক ব্যাখ্যা তলব করেছে! তিনি বলেন, এর সঙ্গে মন্ত্রনালয়ের সর্বোচ্চ ব্যক্তি ‘সচিব’ পর্যন্ত জড়িত থাকতে পারে! কারণ সবিচের অনুমতি ছাড়া একবার অনুমোদন দিয়ে দ্বিতীয় দফায় ওই বিষয়ে আবার ব্যাখা তলব করার সাহস অন্য কোন কর্মকর্তার হবে না। অপর দিকে রহিম নামে ওই ব্যক্তি মেইলে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছিল মন্ত্রনালয়ের ব্যখ্যার সঙ্গে তার হুবহু মিল রযেছে। এতে বুঝা যাচ্ছে ইমেইলে কমিশন দাবি কারী রহিমই মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ ব্যক্তির যোগসাজসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে মেইলটি করেছিল। আর তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় এই শোকজ লেটার টি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিমান মন্ত্রনালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তবে মন্ত্রনালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই ঘটনার সঙ্গে মন্ত্রনালয়ের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তার মতে এটা ডানাডা কিংবা সিভিল এভিয়েশনের কারসাজিও হতে পারে। ২৫ মিলিয়ন ডিকেকে যায়েজ করার জন্য এধরনের ইমেইল নাটক তৈরী করতে পারে কেউ। তিনি বলেন, ডানাডাকে কেউ যদি ইমেইলে হুমকী দিয়ে থাকে সেটা তারা মন্ত্রনালয়কে জানালো না কেন? মন্ত্রনালয় এখনো ২৫ মিলিয়ন ডিকেকে দেয়ার বিপক্ষে। তবে তিনি স্বীকার করেন, পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দ বিকাশ গোস্বামী জানান, ডানিডা সহায়তাপুষ্ট হযরত শাহজালাল আন্তজাতিক বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত কাজ হিসাবে সয়েল রিপ্লেসমেন্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য ডানিডা ও বাংলাদেশ সরকারের (ইআরডি) মধ্যে ঋনচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ অতিরিক্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য মন্ত্রনালয়ের অনুমতি ক্রমে ভেরিয়েশান অর্ডার জারী করা হয়। ভেরিয়েশন অর্ডার অনুযায়ী অতিরিক্ত কাজ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন চলছে। কাজটি যথাযথগুনগত মান বজায় রেখে মাঠ পর্যায়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে যা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞগণ মনিটরিং করছেন। প্রকল্পের কাজ অঅগামী অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের দুই মাস পূর্বেই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। এখানে উল্লেখ্য, ডানিডা প্রকল্প কাজ নিয়ে ২৫ মিলিয়ন ডিকেকে (ডানিশ মুদ্রা) বা ডানিশ অর্থায়ন প্রত্যাহার করা হবে মর্মে যে কাল্পনিক নাটকের অবতারনা করা হয়েছে, সে বিষয়ে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ অবগত নয়।