আগামী মাসে মুক্তি পাবে হৃতিক রোশনের নতুন ছবি ‘মহেঞ্জো দারো’। শুটিংয়ের সময় থেকেই এ ছবি আলোচনার কমতি নেই। তবে আশুতোষ গোয়ারিকরের বিশাল বাজেটের এই ছবিতে কাজ করার ব্যাপারে হৃতিক কিন্তু এক কথাতেই রাজি হয়ে যাননি। তাঁকে রাজি করাতে পরিচালককে মূল চিত্রনাট্য থেকে ছেঁটে ফেলতে হয়েছিল ১২০ পৃষ্ঠা! আশুতোষ প্রথমে মহেঞ্জো দারোর ২০০ পৃষ্ঠার একটি চিত্রনাট্য নিয়ে হৃতিকের কাছে আসেন। সে সময় বন্ধুত্বের খাতিরে পুরো চিত্রনাট্যই পড়তে রাজি হন হৃতিক। পড়ে গল্প ভালোও লাগে তাঁর। কিন্তু তখনই নিজের সম্মতি জানাননি হৃতিক। নির্মাতা আশুতোষকে ছবির চিত্রনাট্য ছেঁটে ছোট করার অনুরোধ করেন তিনি। অগত্যা ২০০ পৃষ্ঠা থেকে চিত্রনাট্য ৮০ পৃষ্ঠায় নামিয়ে আনতে বাধ্য হন আশুতোষ। এরপরই হৃতিক এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন।
এ প্রসঙ্গে হৃতিক মজা করে বলেন, ‘চিত্রনাট্যটি ৩০ পৃষ্ঠার হলে আমি আরও বেশি খুশি হতাম। ২০০ পৃষ্ঠার চিত্রনাট্য পড়তে যে সময় লাগে, তাতে আরও দুটি ছবির কাজ করা যায়!’
আশুতোষ গোয়ারিকরের ছবিগুলো সাধারণত তিন ঘণ্টা বা এর থেকেও দীর্ঘ হয়। তবে নতুন এ ছবিটির দৈর্ঘ্য হবে আড়াই ঘণ্টা। এখানেও হৃতিকের কোনো হাত আছে কি না, সে ব্যাপারে অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইএএনএস।
আরও খবর