ট্রেনে পদ্মা পার হলেন প্রধানমন্ত্রী

ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেল স্টেশনে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল উদ্বোধন শেষে মঙ্গলবার তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু পার হন।

বিকালে তিনি ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে রেল চলাচলের মাহেন্দ্রক্ষণকে ‘স্বপ্ন পূরণের দিন হিসেবে’অভিহিত করেছেন তিনি। পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ। শেষ হয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ। এ অংশের উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তিনি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছান। এর আগের সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।

পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন হওয়ায় এ অঞ্চলে যোগাযোগের নবদিগন্ত উন্মোচিত হলো। এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একাধিকবার যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত অন্তত ৬ বার ১০ কোচের একটি ট্রেনের ট্রায়াল হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হয়েছে এই রুটে। প্রধানমন্ত্রী ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনে নেমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ডা. কাজী ইউসুফ স্টেডিয়ামে এক জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই রেলে আমূল পরিবর্তন আসছে। ১০ অক্টোবর মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন উদ্বোধন করবেন তিনি। উদ্বোধনের কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রুটে পুরোদমে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ট্রেন চালানো হবে। মোংলা বন্দরকে যুক্ত করা এই রেলপথ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমরা পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসব।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.