ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট আবারও জয় পেতে যাচ্ছে বলে বুথফেরত জরিপে আভাস পাওয়া গেছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সাত দফার ভোটাভুটি শেষে সব বুথফেরত জরিপই দিচ্ছে এমন আভাস।
জরিপ বলছে, দুর্নীতি, মুসলিম বিদ্বেষী অবস্থানসহ নানা বিতর্কে জড়ালেও কমেনি বিজেপি সরকারের জনপ্রিয়তা। যদিও ভোটারদের মতামতের ভিত্তিতে করা বুথফেরত জরিপ প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধীরা। চূড়ান্ত ফলাফলে এখনও জয়ের আশা করছে কংগ্রেস।
ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘতম নির্বাচন অর্থাৎ ৪৪ দিনের ভোট উৎসব শেষে এখন চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষা। চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। টানা তৃতীয় দফায় মোদি ম্যাজিক নাকি ক্ষমতায় ফিরবে কংগ্রেস তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
কয়েকটি জরিপ বলছে, ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৪০০টিতেই জয় পাবে বিজেপির জোট এনডিএ। বাকিসব গণমাধ্যমের জরিপেও দাবি করা হচ্ছে, এবার ৩৬০’র বেশি আসনে জিতবে এনডিএ জোট। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোট আসন পেতে পারে ১৫০টির মতো। জরিপ সত্য হলে, গতবারের চেয়েও বেশি আসন পেয়ে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখবেন নরেন্দ্র মোদি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা কৈলাশ চৌধুরী বলেন, আমরা তো সবসময়ই বলে আসছি আমরা চারশ’ আসন পাবো। এমনকি জনগণও এই স্লোগানে আওয়াজ তুলেছিল। বুথফেরত জরিপেও সেটার প্রতিফল দেখছি।
একাধিক জরিপের ফল বলছে, এবার বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যটিতে ২১টির বেশি আসন পেতে পারে মোদির দল। অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জির ভাগ্যে জুটতে পারে সর্বোচ্চ ১৯ আসন। অবশ্য, গণমাধ্যমের এসব জরিপ প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধীরা।
এ বিষয়ে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, আমরা নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গোটা ভারত ঘুরেছি। মাঠ পর্যায়ে মানুষের সাথে কথা বলার কারণে বাস্তবতা সম্পর্কে বেশ ভালোই ধারণা আছে আমাদের। এসব জরিপ সম্পূর্ন অবৈজ্ঞানিক, ধারণার ভিত্তিতে তৈরি। গতবছর অনেক রাজ্যে জরিপের ফলাফল ভুল হয়েছে। আমরা জনগণের ওপর আস্থা রাখছি।
মূলত, ভোট দেয়ার পর কেন্দ্রে ভোটারদের সাথে কথা বলে করা হয় এই জরিপ। তবে, বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাস ভুল হওয়ার নজিরও রয়েছে। ২০১৪ সালে বিজেপি জোটের ক্ষমতায় আসার পূর্ভাবাস দেয়া হলেও এত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার আভাস দেয়নি কোনো জরিপই। এছাড়া অতীতে বিভিন্ন রাজ্যের জরিপ ও চূড়ান্ত ফলাফলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্যও দেখা গেছে।