বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে ১২টি দেশে মোট ৭১টি চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ইতোমধ্যে ২৭টি চিঠির জবাবও পেয়েছে দুদক।
আজ মঙ্গলবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, পাচারকৃত অর্থের বেশিরভাগ স্থানান্তর করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায়।
মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে আইনি সহায়তা চেয়ে এগুলোসহ মোট ১২টি দেশে ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে পাচার অর্থ ফেরানোসহ দুর্নীতি বিষয়ক সমস্যা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে দুদক কীভাবে পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে সহায়তা পেতে পারে, সেই সঙ্গে কমিশনের সক্ষমতা জোরদার করার জন্য সম্ভাব্য কারিগরি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয় বলে দুদক উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম জানান।
গত দুই মাসে দুদক ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত কার্যালয়সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে অর্থপাচার বিষয়ে আলোচনা করেছে।