সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা হয়েছে। গত জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মামলাটি করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিনসহ তিন ব্রিটিশ আইনজীবী।
আশরাফুল আরেফিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন সরকার নির্বিচারে গুলি, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র, যেমন- বার্ডশট পেলেট এবং তাজা গুলি ব্যবহার করে।’
আশরাফুল আরেফিন আরও বলেন, ‘প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য ডেড বডি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, মানুষকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। এর সবই আন্তর্জাতিক আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ।’
লন্ডনে এ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে এক নৃশংস ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছিল বাংলাদেশ। আইসিসির রোম সংবিধির ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ সংবিধির আওতায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিচার এবং আইনি সহায়তা দেওয়া হয়।
মামলাটিতে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে ভারত বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহযোগিতায় বাধ্য হবে বলেও মনে করেন মামলার আইনজীবীরা।