মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ডোনল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৯৫টি ও কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৩৫টি ইলেক্টোরাল ভোট।
এপি বলছে, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি ও পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় জয়ের মাধ্যমে ট্রাম্প যথাক্রমে ১১, ৮ ও ৪টি অর্থাৎ মোট ২৩টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে ভার্মন্টে জয়ের মাধ্যমে তিনটি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন কমলা। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র পরিসংখ্যান।
এরইমধ্যে বিভিন্ন বুথফেরত জরিপের ফলও আসতে শুরু করেছে। যার মধ্যে একটিতে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।
এনবিসি’র এক জরিপে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ ভোটার অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ওপরই আস্থা রাখছেন। যেখানে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করছেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। এছাড়া ৭২ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা দেশের অবস্থা নিয়ে ‘রাগ’ বা ‘অসন্তুষ্ট’। এটিকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার জন্য ‘খারাপ লক্ষণ’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, মার্কিন ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি বেশি বিবেচনায় নিয়েছে, এনবিসির এই বুথফেরত জরিপ তার প্রথম ইঙ্গিত।
এদিকে এপির ভোটকাস্টের তথ্য মতে, মার্কিন ভোটাররা বলেছেন যে অর্থনীতি এবং অভিবাসনই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মূল সমস্যা।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি ভোটারের ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, দেশটি নেতিবাচকতা এবং হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত। এই জরিপে আরও দেখা গেছে, ১০ জনের মধ্যে 8 জন ভোটার যেভাবে দেশ পরিচালনা করা হয় তাতে ‘বড় পরিবর্তন’ চান। এর মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ ভোটার আবার বলেছেন, তারা ‘সম্পূর্ণ পরিবর্তন’ চান।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ‘ভুল পথে’ রয়েছে বলে মনে করেন ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ভোটার।
অন্যদিকে সিএনএন-এর জাতীয় বুথফেরত জরিপের প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে, চলতি বছরের নির্বাচনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোটার আজ (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে ভোট চলছে তা নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছেন।