ঢাকা, ১২ মার্চ ২০১৫: ‘ট্যালেন্ট গ্রাজুয়েশন’ নামক একটি আয়োজনের মাধ্যমে ৩১ জন মেধাবী কর্মীকে আজ, ১২ মার্চ, ২০১৫ (বৃহস্পতিবার) সংবর্ধনা দিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ২০১১ সালে শুরু হওয়া রবি এক্সিলেরেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (আরএডিপি) আওতায় এই প্রথমবার অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এই মেধাবীরা।
রবি’র সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব গড়ে তুলতে আজিয়াটা গ্রুপের মোধাবী উন্নয়ন কর্মসূচির আদলে এ বিশেষ কর্মসূচিটি গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাবনাময় কর্মীদের গড়ে তুলতে রবি’র রয়েছে অনন্য মেধাবী ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া। আরএডিপি’র মাধ্যমে রবিতে এমন একটি কর্মপরিবশে ও প্রক্রিয়া রয়েছে যার মাধ্যমে মেধাবী কর্মীরা তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে এবং দক্ষতাকে আরো শাণিত করার সুযোগ পান।
২০১১ সালে ‘আপন শক্তিতে জ্বলে উঠো’ স্লোগানের মাধ্যমে মেধাবীদের নিয়ে কাজ শুরু করে রবি। এর মাধ্যমে রবিতে কর্মরত মেধাবীদের আরো দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রাথমকিভাবে মানসিক দক্ষতা, আচরণ ও চাকুরীতে তাদের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রহণযোগ্য বৈজ্ঞানিক উপায়ে মেধাবীদের বাছাই করা হয়।
এরপর তাদের বিভিন্ন কৌশলগত প্রকল্প, ব্যবসাভিত্তিক খেলা/সমস্যা সমাধান ও বিভিন্ন বিধি-বিধানের মধ্য দিয়ে গিয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে হয়। প্রাত্যহিক দায়িত্বের পাশাপাশি এটি একটি চলমান শিক্ষা-ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচি। সফলভাবে সেই ধাপ পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের আরো নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। আরএডিপি’র সিনিয়র সদস্যরা পরামর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
চিফ কর্পোারেট অ্যান্ড পিপল অফিসার(সিসিপিও) মতিউল ইসলাম নওশাদের স্বাগত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। গ্রাজুয়েশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মেধাবীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তাদের ভবিষ্যত সাফল্য কামনা করেন তিনি। রবি’র সর্বিক অগ্রগতির জন্য গ্রাজুয়েটদের ধন্যবাদ জানান কোম্পানির এমডি ও সিইও সুপুন বীরাসিংহে। অনুষ্ঠানে আরএডিপি গ্রাজুয়েট সদস্যদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।
নওশাদ বলেন, “কয়েক বছর ধরে আমাদের সাফল্যের পেছনে আরএডিপি গ্রাজুয়েট সদস্যদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তারা কোম্পানিতে সব ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।”
গ্রাজুয়েটদের অভিবাদন জানিয়ে সুপুন বীরাসিংহে বলেন, “দেশের সেরা মেধাবীদের আমাদের সাথে পেয়ে আমরা আনন্দিত। কোম্পানির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আপনাদের নিরলস পরিশ্রম ও একাগ্রতা প্রসংশনীয়। আরএডিপি’র অনেক সদস্য ইতোমধ্যে আজিয়াটা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিতে সুনাম কুড়িয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এশিয়াকে। আমি সকল গ্রাজুয়েটদের সাফল্যজনক কর্মজীবন প্রত্যাশা করি।”
অনুষ্ঠানে রবি’র চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ইয়াপ ওয়েই উইপ, চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) এ.কে.এম. মোরশেদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রবি আজিয়াটা লিমিটেড সম্পর্কে:
রবি আজিয়াটা লিমিটেড মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ ও জাপানের এনটিটি ডেকোমা’র একটি যৌথ কোম্পানি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবি রাজস্ব আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। এর গ্রাহক সংখ্যা আড়াই কোটির বেশি। রবি দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৯ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে ১১ হাজার ২শ’র বেশি টুজি নেটওয়ার্ক এবং ২ হাজার ৪০০টি’র বেশি ৩.৫জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা প্রদান করছে। এছাড়া ২০০টি দেশে ৬০০টি অপারেটরের সাথে চুক্তির মাধ্যমে ব্যাপক ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক রোমিং সেবা প্রদান করছে রবি।
রবি দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে জিপিআরএস ও ৩.৫জি সেবা চালু করেছে। অপারেটরটি ডিজিটাল সেবা চালুর দিক থেকে অনেক ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকা পালন এবং গ্রামীণ ও উপশহর অঞ্চলগুলোর সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য মোবাইল আর্থিক সেবা চালু করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।