দুই ক্ষেত্রেই আমি ব্যর্থ হয়েছি: গৌতম গম্ভীর।
২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ ট্রফি উপহার দিতে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন গৌতম গম্ভীর। ভারতের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের নেতৃত্বে দুই আসরে আইপিএলের শিরোপা জিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স। টানা নয় বছর শাহরুখ খানের নাইট রাইডার্সের অধিনায়কের দায়িত্বপালন করেন গম্ভীর।
আইপিএলের সবশেষ আসের গম্ভীরকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। প্লেয়ার ড্রাফটে নাইট রাইডার্সের এই সাবেক অধিনায়ককে ২ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে দলে নেয় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। কলকাতা ছেড়ে দিল্লির নেতৃত্বে এসে সুবিধা করতে পারেননি গম্ভীর।
ব্যক্তিগত এবং দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে নিজ থেকেই অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দেন গম্ভীর। শুধু তাই নয়, প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে না পারায় দিল্লির সঙ্গে প্রায় ৩ কোটিতে চুক্তি হলেও কোনো অর্থ নেননি গম্ভীর।
সবশেষ আইপিএলে বিনা পয়সায় খেলা প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘শেষবার আমার সঙ্গে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু আমি একটা টাকাও নেইনি। আমি মনে করিনি আমার ১০০ রানের ওত মূল্য রয়েছে। আমি এটাও বলছি না, টাকা না নিয়ে আমি কোনও মহৎ কাজ করেছি। আমার মনে হয়েছে আমি সেটার যোগ্য নই। ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক, দুই ক্ষেত্রেই আমি ব্যর্থ হয়েছি।’
২০০৩ সালে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে ঢাকায় ওয়ানডে ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় গম্ভীরের। এরপর থেকে ১৪৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১১টি সেঞ্চুরি এবং ৩৪টি ফিফটির সাহায্যে ৫ হাজার ২৩৮ রান করেন তিনি।
ভারতের হয়ে ৫৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৯টি সেঞ্চুরি এবং ২২টি ফিফটির সাহায্যে ৪ হাজার ১৫৪ রান করেন গম্ভীর। আর টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৩৭ ম্যাচ খেলে ৯৩২ রান সংগ্রহ করেন ভারতীয় এই ওপেনার।
ভারতের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার চলতি মাসে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের নেন ৩৭ বছর বয়সী গৌতম গম্ভীর।
ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়া প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেন, ‘যদি আমার বয়স ২৭ হতো, কী ভালোই না হতো। তবে বর্তমানে আমি ৩৭। ক্যারিয়ারের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই আমার। যখন আপনার ব্যাটে রান নেই, তখন জায়গা ধরে রাখার কোনও মানে নেই। আমার পরিবর্তে যদি একজন তরুণ জাতীয় দলে জায়গা পেয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, তার থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।’