বাল্টিমোরে কারফিউ প্রত্যাহার
অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গোলযোগপূর্ণ বাল্টিমোর শহর থেকে সান্ধ্য আইন (কারফিউ) প্রত্যাহার করা হয়েছে। শহরটির মেয়র স্টেফানি রাওলিংস-ব্লেক গতকাল রোববার এ ঘোষণা দেন। সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফ্রেডি গ্রের মৃত্যুর ঘটনার জেরে বাল্টিমোরে সহিংস-বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার শহরটিতে জরুরি অবস্থা এবং এক সপ্তাহের জন্য সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী সান্ধ্য আইন বলবৎ রাখার মেয়াদ এক সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার একদিন আগেই তা প্রত্যাহার করা হলো।
স্থানীয় রোববার সকালে বাল্টিমোরের মেয়র স্টিফানি বলেন, প্রয়োজন ছাড়া কারফিউ বলবৎ রাখতে চান না তিনি। তাঁর মতে, সেই প্রয়োজন ফুরিয়েছে। মেয়র আরও জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শহরের রাজপথ থেকে ন্যাশনাল গার্ডের সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে। ইতিমধ্যে ন্যাশনাল গার্ডের সেনারা শহর ছাড়তে শুরু করেছেন। কারফিউ প্রত্যাহারের ব্যাপারে বাল্টিমোরের মেয়রের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ল্যারি হোগান। তিনি বলেছেন, শহর থেকে সব সেনা চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হবে না।গত ১২ এপ্রিল আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফ্রেডি গ্রেকে (২৫) গ্রেপ্তারের পর ভ্যানে টেনে তোলে পুলিশ। তখন ঘাড়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে এক সপ্তাহ অচেতন থাকার পর গত ১৯ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়।গ্রের মৃত্যুর ঘটনার জেরে বাল্টিমোরসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বাল্টিমোরে হয় সহিংস-বিক্ষোভ। শহরটিতে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা ও কারফিউ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় ন্যাশনাল গার্ডের সেনা। এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরও শহরটিতে প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ হয়। তবে তা ছিল শান্তিপূর্ণ।গ্রের মৃত্যুর ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত শুক্রবার তাঁর লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাল্টিমোরের সরকারি আইন কর্মকর্তা মেরিলিন মসবি এ ঘোষণা দেন। কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণায় নিহত গ্রের স্বজনেরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ঘোষণা আসার পর বাল্টিমোরে উত্তেজনা কমে আসে।