বাগেরহাটের সুন্দরবনে বাঘের সঙ্গে আধাঘণ্টা লড়াই করে বেঁচে ফিরছেন মাসুম হাওলাদার (৩০) নামে এক জেলে। পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের তাম্বলবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে গুরুতর আহতাবস্থায় বাড়ি ফেরার পর বিকাল তাকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।আহত জেলে শরণভোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের আ. জলিল হাওলাদারের ছেলে।
বাঘের সঙ্গে লড়াই কেরে বেঁচে ফেরা জেলে মাসুমের দুই সহযোগী মামুন হাওলাদার ও তার ভাই জাহিদুল হাওলাদার জানান, ধানসাগর স্টেশন থেকে পাস-পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে ছোট নৌকায় করে তাম্বলবুনিয়া এলাকায় যান তারা।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে বড়শির আধার সংগ্রহের জন্য জাহিদুল খালে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন। আর খালের চড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাসুম। এ সময় সুন্দরবনের ভেতর থেকে বাঘ হঠাৎ মাসুমের ডান পায়ে আক্রমণ করলে অন্য পা দিয়ে লাথি মেরে সরিয়ে দেয়। আবার বাঘ তার বা হাত ধরে কেয়া বনের মধ্যে টেনে নিয়ে যেতে থাকলে বাঘের সঙ্গে বাঁচা-মরার লড়াই শুরু হয় মাসুমের।
আধাঘণ্টা ধরে লড়াই চলার পর একপর্যায় তার ভাই জাহিদুলের চিৎকারে কাছাকাছি মাছ ধরতে থাকা জেলেরা ছুটে এলে বাঘ মাসুমকে ছেড়ে বনে পালিয়ে যায়। এতে মাসুমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বাঘের নখ ও দাঁতের আঘাত লাগে বলে জানান তার ওই দুই সহযোগীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী জেলে হাবিবুর রহমান খলিফা জানান, তারা কাছাকাছি মাছ ধরছিলেন। এ সময় ডাক-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আসতেই বাঘ মাসুমকে ছেড়ে দিয়ে সুন্দরবনে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।
শরণখোলা হাসপাতলের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিপন নাথ জানান, মাসুমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বাঘের আঘাতের ক্ষত হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।