জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা এম এ জব্বার এবং তাঁর ছেলে মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার কমিশন এ অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
দুদক সূত্র জানায়, গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক সাংসদ এম এ জব্বার এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। ওই দুই মামলার অভিযোগপত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৭ এপ্রিল এম এ জব্বার দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মোট চার কোটি ৯৯ লাখ ৫ হাজার ৪৮৮ টাকার সম্পদ উল্লেখ করেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর বিরুদ্ধে আরও এক কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে।
অন্যদিকে জব্বারের ছেলে মো. মাহবুব হোসেন দুদকে ১৮ লাখ সাড়ে ৭৪ হাজার টাকার সম্পদের বিবরণী দাখিল করলেও অনুসন্ধানে সাড়ে ১৯ লাখ টাকার সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে। দুজনেরই জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে এবং তথ্য গোপন করেছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলা পরবর্তী সময়ে দুদকের তদন্তেও এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কমিশন অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয়। শিগগিরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবেন।
নবম জাতীয় সংসদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-সাংসদদের হলফনামা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে গত বছরের জানুয়ারি থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এঁদের মধ্যে হলফনামায় তথ্য দিতে ‘ভুল হয়েছে’-এ যুক্তি গ্রহণ করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ও সাংসদ আসলামুল হককে অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয় সংস্থাটি। ওই দুজন ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ এনামুল হকও অব্যাহতি পান। তবে সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, সাংসদ আবদুর রহমান বদি, সাবেক সাংসদ এম এ জব্বার ও বিএনপির সাবেক সাংসদ শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে মামলা করে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটি।