ক্ষমতার পেছনে দৌড়ানো আমার রক্তে নেই- গৌতম গম্ভীর।
গত মাসে হঠাৎ করেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন গৌতম গম্ভীর। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে শিরোপা জয়ে ফাইনালে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন গম্ভীর। শুধু তাই নয়, সেবার ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯৩ রান করেন তারকা এই ওপেনার।
ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার আগেই গুঞ্জন রটে রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই ওপেনার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেন, ‘ক্ষমতার পেছনে দৌড়ানো আমার রক্তে নেই। রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে আমার বাসনা নেই। যদি কোনো দিন রাজনীতিতে পা রাখতে হয়, সেক্ষেত্রে আমার ক্রিকেট অজর্ন যেন বিবেচনা না করা হয়। মানুষ গম্ভীরকে দেশ গড়ার কারিগড় মনে করলেই ভোট দেবে।’
২০০৩ সালে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে ঢাকায় ওয়ানডে ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় গম্ভীরের। এরপর থেকে ১৪৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১১টি সেঞ্চুরি এবং ৩৪টি ফিফটির সাহায্যে ৫ হাজার ২৩৮ রান করেন তিনি।
ভারতের হয়ে ৫৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৯টি সেঞ্চুরি এবং ২২টি ফিফটির সাহায্যে ৪ হাজার ১৫৪ রান করেন গম্ভীর। আর টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৩৭ ম্যাচ খেলে ৯৩২ রান সংগ্রহ করেন ভারতীয় এই ওপেনার।
একটা সময়ে জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন গৌতম গম্ভীর। অফ ফর্মের কারণে ২০১২ সালের ডিসেম্বর টি-টোয়েন্টি খেলার পর ভারতীয় দলে আর সুযোগ পাননি।
সবশেষ ওয়ানডে খেলেন ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে। এরপর ২০১৪ সালে টেস্ট দলে ফিরলেও প্রত্যাশিত পারফরর্ম করতে পারেননি গম্ভীর। দুই বছর পর ফের টেস্টে ফিরলেও দলের চাওয়া অনুসারে খেলতে পারেননি।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও আইপিএলে দাপটের সঙ্গেই খেলেছেন গম্ভীর। তার নেতৃত্বে আইপিএলের শিরোপা জিতে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। দীর্ঘদিন ধরে শাহরুখ খানের নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দেয়া গম্ভীরকে সবশেষ আইপিএলে ছেড়ে দেয় কলকাতা।
আইপিএলের সবশেষ আসরে দিল্লির অধিনায়ক ছিলেন গম্ভীর। কিন্তু ব্যক্তিগত এবং দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন এই ওপেনার। এরপর দল থেকেই বাদ পড়ে যান গম্ভীর।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে যাওয়া ৩৭ বছর বয়সী এই ওপেনার খেলে যাচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। তবে আগামী বৃহস্পতিবার রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লি ও অন্ধ্র প্রদেশের মধ্যকার ম্যাচ খেলেই ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন দিল্লির এই ওপেনার।