প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন কর্মসূচির সঙ্গে টেলিনর ডিজিটাল এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হোটেল রেডিসন ব্লুতে ‘ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০১৫’ এ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও প্রকল্প পরিচালক ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন’ কবির বিন আনওয়ার এবং টেলিনর ডিজিটাল এর গ্লোবাল হেড অফ হেলথ ম্যাথু গিল্ডফোর্ড নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
টেলিনর গ্রুপ, অ্যাকসেঞ্চার ও বেসিস, ডাক টেলিযোগাযোগ এবং আইটি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি ডিভিশনের সহায়তায় এই ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন করে।
প্রাথমিকভাবে এই স্মারক ৭ মে ২০১৫ থেকে ৬ মে ২০১৮ (তিন বছর) পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বাংলাদেশের সকল পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে এটুআই এবং টেলিনর ডিজিটাল এর মধ্যে সহযোগিতার কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে এই স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।
সমঝোতার অংশ হিসেবে টেলিনর ডিজিটাল বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সামাজিক উদ্যোগ তৈরিতে এটুআই এর সঙ্গে কাজ করবে। শুধু বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানব উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়াই এর লক্ষ্য নয় বরং সরকারি-বেসরকারি সেবা সমূহকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াও এর অন্যতম লক্ষ্য।
এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, “এই চুক্তি ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরেকটি পদক্ষেপ। আমরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন খাতে অগ্রগতি অর্জন করেছি, আর টেলিনর ডিজিটালের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতার ফলে আমরা তাদের বিপুল ডিজিটাল অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারবো এবং সামাজিক ক্ষমতায়ন উদ্যোগে এক সঙ্গে কাজ করতে পারবো।”
টেলিনর ডিজিটাল এর ভারপ্রাপ্ত সিইও হেনরিক ক্লওসেন বলেন, ” বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এদেশের সমাজের আরো উন্নয়নে ডিজিটাল ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজ করার সুযোগ পেয়ে টেলিনর আনন্দিত।”
তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য সেবা নিয়ে আমরা যে কাজ করবো তা শুধু বাংলাদেশের মানুষের জীবনের মান উন্নয়নই করবে না বরং সেগুলো সারা বিশ্বেই ব্যবহারযোগ্য নতুন মডেল তৈরি করবে বলে আমরা নিশ্চিত।”
এই উদ্যোগগুলোর লক্ষ্য হবে নাগরিকদের জন্য এমন ডিজিটাল ও মোবাইল টুল তৈরি করা যা তাদের কাছে তথ্য, কনটেন্ট এবং সহযোগিতা পৌঁছে দেবে। এগুলো পরবর্তীতে তাদের দৈনন্দিন জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং সরকারি সম্পদের উপর নির্ভরতা হ্রাস করতে সাহায্য করবে।