আইপিএলে মুম্বাইয়ের শিরোপা জয়।
লাসিথ মালিঙ্গার আগুন ঝড়া বোলিংয়ে শেষ বলে আইপিএল শিরোপা নিশ্চিত করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ফাইনালের নাটকীয় ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার বোলিংয়ে রীতিমতো মুগ্ধ মোস্তাফিজুর রহমান।
আইপিএলের সবশেষ ১২টি আসরের মধ্যে এনিয়ে চতুর্থ শিরোপা জিতল মুম্বাই। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলটির এমন পারফরম্যান্সে রীতিমতো মুগ্ধ গত আসরে মুম্বাইয়ের হয়ে খেলা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসার মোস্তাফিজ।
মুম্বাই আরও একটি শিরোপা জয়ের পর টুইটারে মোস্তাফিজ লেখেন, এটা চরম রোমাঞ্চকর ছিল। লাসিথ মালিঙ্গা শেষ ওভারে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করেছেন। রোহিত শর্মা এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে আরেকটি মুকুটের জন্য অভিন্দন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন শেন ওয়াটসন। কিন্তু লাসিথ মালিঙ্গার করা ওভারের চতুর্থ বলে দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হন ওয়াটসন। তার বিদায়ের পর চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান।
নতুন ব্যাটসম্যান শার্দুল ঠাকুর ওভারের পঞ্চম বলে নেন ২ রান। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। মালিঙ্গা ব্যাটসম্যানের ঠিক পায়ের গোড়ায় বল ফেলে শার্দুল ঠাকুরকে এলবিডব্লিউর আবেদন করলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটার-ফ্রাঞ্চাইজি এবং সমর্থকরা।
আইপিএলের সদ্য শেষ হওয়া ১২তম আসরের ফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংসকে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে শেন ওয়াটসনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরও ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় চেন্নাই। দলের হয়ে ৫৯ বলে ৮০ রান করেও পরাজয় এড়াতে পারেননি চেন্নাইয়ের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার শেন ওয়াটসন।
ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে যায় মুম্বাই। সময়ের ব্যবধানে উইকেট পড়ে যাওয়ায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলটির।
ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন কায়রন পোলার্ড। তিনি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ বলে তিনটি ছক্কা ও ৩টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৪১ রান করেন।
উদ্বোধনীতে ৪৫ রান করা মুম্বাই এরপর শূন্য রানের ব্যবধানে হারায় দুই ওপেনারের উইকেট। এরপর মুম্বাইয়ের ব্যাটিংয়ে আবারও ধস নামান ইমরান তাহির।
২ উইকেটে ৮২ রান করা মুম্বাই এপর ১৯ রানের ব্যবধানে হরায় তিন উইকেট। পরপর দুই ওভারে উইকেট তুলে নেন লেগ স্পিনার ইমরান তাহির।
১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১০১ রান করা মুম্বাইকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে ইনিংসের শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন কায়রন পোলার্ড। কিন্তু প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি পান্ডিয়া। ১০ বলে মাত্র ১৬ রান করেই ফেরেন পান্ডিয়া।
শেষ পর্যন্ত কায়রন পোলার্ডের ২৫ বলের অপরাজিত ৪১ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান তুলতে সক্ষম হয় মুম্বাই। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন দীপক চাহার। দুটি করে উইকেট নেন ইমরান তাহির ও শার্দুল ঠাকুর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৮ (পোলার্ড ৪১*, ডি কক ২৯, ইশান কৃষান ২৩; চাহার ৩/২৬, ইমরান ২/২৩, শার্দুল ঠাকুর ২/৩৭)।
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৪৮/৭ (ওয়াটসন ৮০; ডু প্লেসিস ২৬; বুমরাহ ২/১৪, মালিঙ্গা ৪৯/১)।
ফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১ রানে জয়ী।