‘মাশরাফির কঠিন সময়ের কথা এখনও মানুষের অজানা’

‘মাশরাফির কঠিন সময়ের কথা এখনও মানুষের অজানা’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ঘরোয়া লিগ ও ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুবাদে বাংলাদেশে প্রায়ই আসা হয়েছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার।

২০০৫ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন। ওই সিরিজেই বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে প্রথমবারের মতো টেস্টে হারিয়েছিল। চট্টগ্রামের এম এ আজিজে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় সেটাই। চট্টগ্রামে জয়ের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় টেস্ট ড্র করে বাংলাদেশ। ওই সিরিজের স্মৃতি আজও মনে আছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার। জানালেন বাংলাদেশে কাটানো কঠিন সময় ছিল ওই সময়টা।

‘বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারটা ছিল কঠিন স্মৃতি। বাংলাদেশ দল তখন উঠতি। এখনকার মতো শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু তারপরও তারা আমাদের হারিয়েছিল।  আমি ২০০৪-০৫ সালের কথা বলছি। ওটা আমার কঠিন স্মৃতি বলবো বাংলাদেশে। এছাড়া আরও অনেক ভালো মুহূর্ত ও স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশে। ‘এখানকার ঘরোয়া ক্রিকেটে আমার অংশগ্রহণ ছিল। বিপিএল, ঢাকা লিগ খেলেছি। ফলে এখানকার কর্মকর্তা, ম্যাচ অফিসিয়াল প্রায় প্রত্যেকের সঙ্গে আমার সখ্যতা গড়ে উঠেছে।’

বাংলাদেশকে ‘সেকেন্ড হোম’ বলতে কখনো দ্বিধা করেননি মাসাকাদজা। বাংলাদেশের একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে তার সখ্যতা, বন্ধুত্ব। তবে বিশেষ কারণে মাশরাফি বিন মুর্তজা তার হৃদয়ে অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে। বন্ধু মাসাকাদজা মনে করেন, চড়াই উৎরাই ও কঠিন সময় পেরিয়ে মাশরাফি যেভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে ছিলেন তা বইয়ের পাতায় তুলে আনা উচিত। এজন্য মাশরাফির সঙ্গে কথাও বলেছেন মাসাকাদজা।

‘মাশরাফির সঙ্গে এখানে একসঙ্গে খেলতে পারা আমার সবথেকে ভালো স্মৃতি। আমি মনে করি, তার কঠিন সময়ের কথা এখনও মানুষ জানেন না। সে কিভাবে ক্যারিয়ার সামলেছে সেটা অনেকেরই অজানা। আমি ওকে সব সময়ই বলি, তোমার নিজেকে নিয়ে বই লিখা উচিত।’

‘মাশরাফির অভিজ্ঞতা তরুণদের জন্য হবে অনুপ্রেরণা। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ও বাংলাদেশ ক্রিকেটে যতোটুকু দিয়েছে তার সবটুকু মানুষের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। আমি মনে করি ওর সঙ্গে কাটানো মুহুর্তগুলো আমার জীবনের অন্যতম সেরা। এটাকে আমার জন্য আর্শীবাদও বলা যাবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কলবাগান ক্রীড়া চক্রে মাশরাফি ও মাসাকাদজা খেলেছিলেন এক দলে।  প্রিমিয়ার লিগে একসঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন দুজন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.