ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত, হারাতে পারেন ক্ষমতা

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত, হারাতে পারেন ক্ষমতা।

আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশি সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ নিয়ে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে অভিশংসনের মুখে পড়তে হতে পারে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আসন্ন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে ট্রাম্পের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন জো বাইডেন। অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনের আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের বিরুদ্ধে কোনো একটি নেতিবাচক বিষয় উঠানোর জন্য ইউক্রেনের সাহায্য চেয়েছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার এবং শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন আচরণকে ‘শপথের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এবং এই আচরণকে জাতীয় নিরাপত্তা ও নির্বাচনের স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি সম্পর্কে পেলোসি বলেন, নিজের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলার কথা এ সপ্তাহে তিনি স্বীকার করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। কেউই আইনের বাইরে নয়।

“কারণ, এর মাধ্যমে তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের সাংবিধানিক দ্বায়িত্ব পালনেও গাফিলতি করেছেন।”

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তে সত্য প্রমাণিত হলে তার অভিশংসনের দাবি আরও জোরালো হবে। অবশ্য পুরো প্রক্রিয়া শেষে ট্রাম্পকে অপসারণ সম্ভব হবে কিনা তা বলা কঠিন। তবে এটি সত্য প্রমাণিত হলে নিশ্চিতভাবেই তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে এবং তিনি আসন্ন নির্বাচনে বিপদে পড়বেন।

বর্তমানে ৪৫ শতাংশ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের কার্যক্রম সমর্থন করেন। বাকি ৫৫ শতাংশ তার বিপক্ষেই মত দেন। এমন সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে ফাঁসানোর জন্য নিজের পরিকল্পনাতেই ফেঁসে যেতে পারেন ট্রাম্প।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.