বড় অক্ষরে লেখায় মোহামেদ সালাহর ভোট বাতিল।
ভোট চুরি করে লিওনেল মেসিকে ‘দ্য বেস্ট’ করার অভিযোগ উঠেছে ফিফার বিরুদ্ধে! সেই বিতর্কে নতুন সংযোজন মোহামেদ সালাহর পক্ষে জমা পড়া ভোট বাতিল। ফিফা অবশ্য ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছে কেনো তালিকাভুক্ত করা হয়নি মিশরীয় ফরোয়ার্ডের সেই ভোট।
বর্ষসেরা অনুষ্ঠানের পর কোন খেলোয়াড়ের পক্ষে কত ভোট পড়েছে তার তালিকা দিয়েছিল ফিফা। সেটা দেখার পর ফিফার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়তির অভিযোগ উঠে। সুদান জাতীয় দলের কোচ ড্রাভকো লোগারুসিচ অভিযোগ করেন, তিনি মেসিকে ভোটই দেননি। অথচ তার প্রথম ভোটটি দেখানো হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকার পক্ষে।
সুদানের কোচের সঙ্গে মিশরের কোচ শকি গারিব ও অধিনায়ক আহমেদ এলমোহামেদির দাবী তারা ভোট দিয়েছিলেন সালাহকে। কিন্তু তাদের ভোট গণনাই করা হয়নি। এক বিবৃতিতে এই দুই জনের ভোট বাতিলের ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে।
ভোট দেয়ার সময় নাকি সালাহর নামের অক্ষরগুলো বড় হাতে লিখেছিলেন মিশরের কোচ ও অধিনায়ক। ফুটবলের গভর্নিং বডির নিয়মানুসারে যা অগ্রহণযোগ্য।ভোটের কাগজে সালাহর নামটা ছিল বড় হাতের। এই কারণে তার পক্ষে ভোট গণনা করা হয়নি’ বিবৃতিতে এমনটাই ফিফার ভাষ্য।
কোচ আর অধিনায়কের ভোট দেয়ার পর তাতে স্বাক্ষর করেন মিশর ফুটবল ফেডারেশনের মহাসচিব। ফিফার নমুনাপত্রে দেখানো হয়েছে সেই স্বাক্ষরও গায়েব। কারণ হিসেবে ফিফা বলছে যেহেতু ভোট বাতিল হয়েছে, সেজন্য স্বাক্ষরও দেখানো হয়নি। সংস্থাটির ভাষ্য মতে ‘পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়ায়’ এই ভুল করেছে মিশর!
এবার ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার উঠেছে লিওনেল মেসির হাতে। লিভারপুল তারকা ফন ডাইক হয়েছেন রানার্স-আপ। রোনালদো হয়েছেন তৃতীয়। আর লিভারপুলের আরেক তারকা ফুটবলার মিশরীয় সালাহ হয়েছেন চতুর্থ।