তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি সংগঠনগুলো আমাকে এ সম্মাননার যোগ্য করে তুলেছে। এ পুরস্কারে তাদের ভুমিকা অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রী আমাকে সিঙ্গাইর বিল থেকে সিলিকন ভ্যালিতে পাঠিয়েছেন। আইসিটিতে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। তার তত্ত্বাবধানে আমার আজকের এ সাফল্য।’
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬’ নির্বাচিত হওয়ায় শুক্রবার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বেসিস অডিটরিয়ামে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ‘জুনাইদ আহমেদ পলক আমাদের যোগ্য নেতা। ৪০ বছরের নিচে যেসব নেতা পৃথিবী পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে, তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) এ পুরস্কারে ভূষিত করে। ২০০৭ সালে এ পুরস্কার পেয়েছিল বর্তমান সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ৯ বছর পর সে পতাকা আবার ফিরে এল আরেক যোগ্য নেতা পলকের কাছে। আমাদের নেতা এখন বিশ্বের নেতা।’
বাংলাদেশ ওম্যান ইন টেকনোলজির (বিডব্লিউআইটি) সভাপতি সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘বিল গেটস উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে যে ১০টি দেশকে প্রাধান্য দিয়েছেন তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সিলিকন ভ্যালিতে আমার ১৫ বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে। এ ১৫ বছরে আমি যা শিখেছি, আমাদের সুযোগ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এ অল্প সময়ে তার চেয়ে বেশি কাজ শিখতে পেরেছি। তিনি নিঃসন্দেহে এ সম্মানের দাবিদার।’
বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমাদের প্রতিমন্ত্রী এখন আর শুধু আমাদের নেই। তিনি এখন পুরো বিশ্বের। বিশ্ব তার স্বীকৃতিও প্রদান করেছে। প্রতিমন্ত্রীর এই সাফল্য আমাদের গর্বিত করে।’
বিজয় কি-বোর্ডের প্রণেতা মুস্তফা জব্বার বলেন, ‘পুত্রের সাফল্য যে কোনো পিতার জন্য আনন্দের। আমাদের সন্তানের কৃতিত্ব আমাদের চলার পথকে আরও সহজ করে। মালদ্বীপ, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত সবার জন্য এখন বাংলাদেশ মডেল রাষ্ট্র। পলকের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বিসিসি ভবনকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আমরা নিজেদের বাড়ি ভাবতেই বেশি পছন্দ করি।’
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাক্য সভাপতি আহমদুল হক ববি, ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ, অ্যামটব মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির, সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার প্রমুখ। দেশের সকল আইসিটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যৌথভাবে এই সংবর্ধনার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)।