মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমার অপেক্ষায়

bbc pic_122627মিকেল ওয়েস্ট হোটেল রুমে আয়নার সামনে দাড়িয়ে ভাবছিলেন কোন পোশাকটি পড়বেন আজ।

হোয়াইট হাউজে দাওয়াতে যাবেন তাই যেনতেন ভাবে গেলে তা আর চলবে না। তবে এই দাওয়াতে আনন্দ করতে যাচ্ছেন না মিকেল।

জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে যাচ্ছেন।

এখানে সুযোগ বুঝে যাবজ্জীবন সাজা ভোগকারী মায়ের জন্য রাষ্ট্রপতি ওবামার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন তিনি।

যদিও দাওয়াত কার্ডে লেখা আছে সেখানে কোন ব্যক্তিগত সুপারিশ নিয়ে যাওয়া যাবে না।

কিন্তু মিকেল ও তার পরিবারের জন্য এটাই বোধহয় শেষ ভরসা।

মিকেল ওয়েস্ট লস এঞ্জেলস শহরের একজন স্টাইলিস্ট যিনি সেলেব্রিটিদের পোশাক সম্পর্কে বুদ্ধি পরামর্শ দেন।

১৯৯০ সালে একটি মাদক চক্রের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে তার মা মিশেল ওয়েস্ট কে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়। যার অংশ হিসেবে তিনি সাজা খাটছেন।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৪ সালে কারাবন্দীদের জন্য একটি ক্ষমা প্রকল্প চালু করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারগুলোতে এতটাই বেশি কারাবন্দী যার চাপে দেশটির ফেডারেল প্রিজন গুলোর হিমশিম অবস্থা।

যেসব কারাবন্দীদের প্রথম সাজা হয়েছে, সহিংস ঘটনার সাথে সম্পর্ক নেই, যাদের তেমন কোন অপরাধের রেকর্ড নেই, দশ বছর সাজা খাটা হয়ে গেছে আর কারাগারে যাদের আচরণ ভালো ছিলো তারাই ঐ প্রকল্পের আওতায় রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মায়ের হয়ে সেটির জন্যেই আবেদন করেছেন মিকেল ওয়েস্ট।

যুক্তরাষ্ট্র বহু পরিবারের জন্য আশা নিয়ে এসেছে বারাক ওবামার এই প্রকল্প।

২০১৪ সালে প্রকল্পটি শুরুর পর ৩৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।

কিন্তু এখন তাদের বুকে দুরু দুরু অবস্থা।

আবেদন যাচাই বাছাই করে সাজা প্রাপ্ত অপরাধীদের সমাজে আবার ছাড়া হবে কিনা সেটি যেমন জটিল ও সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।

তেমনি বারাক ওবামার ক্ষমতার সময় শেষ হয়ে আসছে এবছরই। তার আগেই কি আবেদন অনুমোদন পাবে?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রস্থানের পর তার উত্তরসূরি কি ক্ষমার প্রকল্পটি রাখবেন?

সেসব দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ক্ষমা আবেদন কারীদের অনেকে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.