তেল চুরির দায়ে বিমানের তিন কর্মীর কারাদণ্ড

download (1)বার বার তেল চুরি করতেন তারা। প্রতিদিন নির্বিঘেœ নিরাপদ পরিবেশে তেল পাচার করতেন বাইরে। কেউ ধরবে দূরে থাক, সন্দেহ পর্যন্তও করেনি। শাহজালাল বিমানবন্দরের ভেতরে বসে দীর্ঘদিন ধরেই তারা তেল চুরি করে বিপুল কামিয়েছেন। অথচ পদটাও আহামরি নয়, স্রেফ চালক। কিন্তু ওই চোরের দশদিন সাধুর একদিন প্রবাদের মতোই তারা ধরা পড়ে গেছেন শুক্রবার সকালে। হাতেনাতে ধরা পড়ায় সাজাও পেয়েছেন হাতেনাতেই। প্রত্যেককেই দেয়া হয় এক বছর করে কারাদ-। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বিমানের কর্মী মুসফিক, সাজেদুল ও জেট এয়ারের আবু খালেক। বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ এ আদেশ দেন।

এ ঘটনায় বিমানবন্দরে তোলপাড় চলে। সাজাপ্রাপ্ত ওই তিনজনের সহযোগীদের মাঝেও ধরা পড়লে এ ধরনের শাস্তি পাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা যায়, শুক্রবার সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরের ভেতরে বিমানের জিএসই শাখায় ঘটে এ চুরির ঘটনা। ওই শাখায় যানবাহনের জন্য তেল বরাদ্দ থাকে। ওই তেল বিভিন্ন গাড়িতে দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন তারা তিনজন। কিন্তু শুক্রবার তারা তিনজনই তিনটি কন্টেনারে তেল ভরে তা বাইরে পাচার করার চেষ্টা করেন। এ সময় বিমানের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে। তিনি তাৎক্ষণিক তাদের আটক করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খবর দেন। আটকের পর নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। সংক্ষিপ্ত শুনানির সময় তারা দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এতে ম্যাজিস্ট্র্রেট তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদ- প্রদান করেন।

নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ জানান, ওই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ বিমানের ব্যবহৃত বিভিন্ন গাড়ির তেল ও মবিল চুরি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে তাদের আটক করে কারাদ- দেয়া হয়। চক্রটির অন্য সদস্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। জিএসই শাখার রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপককে তলব করা হয়েছে। তার ইন্ধন ছাড়া এ চুরি সম্ভব কি-না সেটা জানতে হবে।
সূত্রঃ জনকন্ঠ

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.