করোনার সংক্রমণ পরিস্তিতির কারণে বিশ্বের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপক ধ্বস নেমেছে। অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো সংকটময় আর্থিক বছর পার করছে।
ওপেক দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরাকেও এর ধাক্কা পড়েছে। তেলের দাম কমে যাওয়ায় গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে সংকটময় আর্থিক বছর পার করছে ইরাক।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে গত দশকে লাখ লাখ শ্রমিক ইরাকে ছুটে গিয়েছে। সেখানে তেলের খনি থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁয় কাজ করছে তারা। তেলের দাম কমে যাওয়ায় ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক তাদের চাকরি হারিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বাগদাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার মোহাম্মদ রেজাউল কবির বলেন, ইরাকে ২ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি রেজিস্টার্ড শ্রমিক রয়েছে। করোনার সংক্রমণ পরিস্তিতির কারণে, ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক তাদের চাকরি হারিয়েছে। তবে অনানুষ্ঠানিক শ্রমিকের হিসাব ধরলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে
দূতাবাস কনস্যুলার বলেন, এদের মধ্যে ৯ হাজার আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি ও বসরায় ঠিকাদারদের আওতায় কাজ করেন। তেলের দাম কমে যাওয়ায় অনেক তেলখনি শ্রমিক ছাঁটাই করছে, এদের অনেকে চূড়ান্ত পাওনাও বুঝিয়ে দেয়নি।
এএফপি জানিয়েছে, দেশে ফিরে যাওয়ার আশায় অনেক শ্রমিক বাগদাদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যাচ্ছেন। তাদের প্রত্যাশা এক্ষেত্রে দূতাবাস তাদের সহযোগিতা করবে।
রেজাউল কবির বলেন, আমরা তালিকা তৈরি করছি এবং কোনো ব্যবস্থা করতে পারলেই আমরা লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।এটি ব্যয়বহুল এবং তাদের পাঠাতে আমাদের অনেক ফ্লাইট প্রয়োজন। আমরা তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।