আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার শ’য়ে শ’য়ে হাতির মৃতদেহ বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে ছড়িয়ে আছে। কমপক্ষে চারশ হাতির দেহ মিলেছে।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। রহস্যময় কারণে হাতি মরে যাওয়ায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশটিতে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বতসোয়ানায় গত দু মাসে শত শত হাতির রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। হাতির মৃত্যুর এই কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। কেন এত হাতির মৃত্যু সে সম্পর্কে হাতি ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন। হাতিগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে পরীক্ষা চলছে। বতসোয়ানা সরকার জানিয়েছে, এই হাতির রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর রিপোর্ট আরও সপ্তাহখানেক পরে পাওয়া যাবে।
মে মাসের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার এই দেশটি ওকাভাঙ্গো ব-দ্বীপে চারশটিরও বেশি হাতির মৃতদেহ মিলেছে। আফ্রিকার মোট হাতির এক তৃতীয়াংশ রয়েছে বতসোয়ানায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্থানীয় পরিবেশ সংরক্ষণ কর্মীরা মে মাসের শুরুর দিকে ব-দ্বীপের ওপর দিয়ে বিমান ভ্রমণ করার সময় ১৬৯টি হাতির মৃতদেহ দেখতে পান। তারা সরকারকে সব জানান। তদন্ত শুরু হতেই ওঠে আসে আরো ভয়ঙ্কর তথ্য।
পরিবেশবিদরা জানান, শয়ে শয়ে হাতি মৃত্যুর কারণ রহস্যময়। এমনটা হলে পরিবেশের জন্য বিরাট ক্ষতি। মনে করা হচ্ছে, চোরা শিকারীরা বিষ দিয়ে তিনশোরও বেশি হাতি মেরেছে। তবে বতসোয়ানা সরকার চোরা শিকারি হামলার তত্ত্ব নাকচ করে জানায়, মৃত সবকটি হাতির দাঁত এখনও রয়েছে। কাটা হয়নি। হাতি বাদে অন্য পশু মৃত্যুর সংবাদ আসেনি।
গত বছর অ্যানথ্রাক্স বিষক্রিয়ায় বতসোয়ানায় একশটিরও বেশি হাতি মারা গিয়েছিল। এবার তেমন কিছু রয়েছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে কি এত হাতির মৃত্যু হলো? উঠছে এমন প্রশ্নও।
সূত্র: বিবিসি।