প্রতিষ্ঠান খুলতে থাকায় বেকারত্ব হ্রাস পাচ্ছে কানাডায়

কানাডার গত জুনে ৯ লাখ ৫৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হওয়ায় বেকারত্বের হার ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে।

কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম সিটিভির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা মহামারীর কারণে মার্চ ও এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ রাখা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে।

ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসান কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। জুনে প্রায় এক কোটি লোক কাজে যোগ দেয়ায় কানাডার অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে।

কানাডার শ্রমশক্তি অধিদফতরের শুক্রবারে প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে, জুন মাসে ৯ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।

এদের মধ্যে ৪ লাখ ৮৮ হাজার পূর্ণকালীন এবং ৪ লাখ ৬৫ হাজার খণ্ডকালীন কর্মী। গত মে মাসে বেকারত্বের হার ছিল রেকর্ডসংখ্যক ১৩.৭ শতাংশ। এখন তা কমে ১২.৩ শতাংশে এসেছে।

কানাডার অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ অবস্থার আরও পরিবর্তন হবে। ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেকেই চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। কানাডার অর্থনীতির চাকা সচল করতে নীতিনির্ধারকরা একের পর এক পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন। তা অব্যাহত থাকবে করোনার ভ্যাকসিন বের না হওয়া পর্যন্ত।

আলবার্টার প্রকৌশলী মো. কাদির বলেন, এমনিতেই বছরের শুরুতে তেলের দাম কম ছিল, তার ওপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো করোনা মহামারীতে তেল, গ্যাস সেক্টরকে বড়ই লাজুক অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আর বেশি দিন গৃহবন্দি থাকা যাবে না, সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েই ঘর থেকে বের হতে হবে। নতুন স্বাভাবিক অবস্থাকে মেনে নিতে হবে। নতুবা করোনা মহামারী অর্থনৈতিক মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে।

বৈশ্বিক মহামারী করোনায় কানাডায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেস্টুরেন্টগুলো। অনেক রেস্টুরেন্ট ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, কানাডায় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা থাকার কারণে অনেককে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হয়েছে।

এখন কানাডায় গ্রীষ্মকাল চলছে, তার পরও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি ও ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাচ্ছেন না।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.