কাগজপত্রহীন প্রবাসীদের জন্য নিউইয়র্ক সোসাইটির করোনার টিকা ক্যাম্প

বৃহস্পতিবার থেকে নিউইয়র্ক সিটি হেল্থ + হসপিটালস্, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক এবং বাংলাদেশ সোসাইটি’র সম্মিলিত উদ্যোগে চারদিনের করোনার টিকা প্রদানের বিশেষ একটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা নাগাদ মোট ৫০০ জনকে প্রদানের লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। এতে বিপুল সাড়া পড়েছে উদ্বোধনের পরই।

এ উপলক্ষে কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা গণমাধ্যমকে জানান, কাগজপত্রহীন অনেক প্রবাসী নানাকারণে অন্যত্র টিকার জন্যে এপয়েন্টমেন্ট করতে চাননি। তাদের কথা বিবেচনা করেই আমরা এই কার্যক্রম চালু করেছি। এখানে টিকা নিতে কাউকে আগাম এপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন হচ্ছে না। কোন ধরনের ফি-ও নেয়া হয় না। শুধুমাত্র নিউইয়র্কের বাসিন্দা-এটি প্রমাণ দিয়েই টিকা নিতে সক্ষম হচ্ছেন ১৮ বছর থেকে উর্ধ্ব বয়সী সকলে।

সাদিয়া বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, করোনায় এই সিটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন। বাংলাদেশির সংখ্যাও অনেক। মৃত ব্যক্তিগণের সৎকারে বাংলাদেশ সোসাইটিসহ বেশ কটি সামাজিক-আঞ্চলিক সংগঠনের ভূমিকা সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে। এবার সেই বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব ভবনেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করায় সকলেই স্বস্তিতে তা নিতে আসছেন।

বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার এ সময় বলেন, চাহিদা প্রচুর। কিন্তু আমাদের নিজস্ব জায়গা খুবই ছোট হওয়ায় দৈনিক গড়ে ১২৫ জনকে টিকা প্রদানের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে চেষ্টা করছি প্রবাসীদের স্বার্থে আরো বেশীসংখ্যক মানুষকে নিজেদের আবহে টিকা প্রদানের জন্যে। এ সময় সেখানে ছিলেন কমিউনিটি লিডার কাজী নয়ন, বাংলাদেশ সোসাইটির সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিক, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্তদের খোঁজ-খবর এবং ঘরবন্দিদের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেয়ার সময়ে গতবছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এই সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ, সহ-সভাপতি আব্দুল খায়ের এবং নির্বাহী সদস্য বাকের আজাদ। তারপরও থেমে থাকেননি অপর কর্মকর্তারা। চরম দু:সময়ের বন্ধু হিসেবেই আবির্ভূত হয় বাংলাদেশিদের এই সর্বজনীন সংগঠনটি।

কর্মকর্তারা জানান, ১১ এপ্রিল রবিবার পর্যন্ত জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যালয় (৮৬-২৪ হুইটনি এভিনিউ, এল্মহার্স্ট, নিউইয়র্ক-১১৩৭৩) এ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে। এখানে ‘জনসন এ্যান্ড জনসন’র টিকা দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ একডোজেই পূর্ণ টিকার কাজ সারছেন প্রবাসীরা। আর তা প্রদান করা হচ্ছে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.