কভিড-১৯ মহামারীর কারণে তিন বছরের প্রবৃদ্ধি হারানোর শঙ্কায় রয়েছে বিশ্বের এভিয়েশন শিল্প। তবে বিশ্বব্যাপী সরকারগুলো যদি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পরিহার করে নেয়, তবে এ ক্ষতি থেকে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার সম্ভব। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্রায়ান পিয়ার্স বলেন, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে আকাশপথে যাত্রীর সংখ্যা ৫২ শতাংশ কম হবে।
যেটি চলতি বছরকে কার্যক্রমবিহীন একটি বছরে পরিণত করবে। ২০২২ সালে আকাশপথে আরোহীর সংখ্যা সংকটপূর্ব সময়ের তুলনায় ৮৮ শতাংশে উন্নীত হবে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ ১০৫ শতাংশে ফিরে আসবে বলেও জানান তিনি।
ব্রায়ান পিয়ার্স বলেন, যে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি, তা হলো, আমরা দু-তিন বছরের প্রবৃদ্ধি হারাতে বসেছি। তবে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হলে এ খাতে পুনরায় প্রবৃদ্ধি সম্ভব।
২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে উড়োজাহাজ ব্যবহারকারী যাত্রীর সংখ্যা ৫৬০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। তবে এটি করোনা-পূর্ববর্তী সময়ে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) পূর্বাভাসের তুলনায় ৭ শতাংশ কম।
অঞ্চলভেদে বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ শিল্প বিভিন্ন গতিতে ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। এর সঙ্গে দেশগুলোয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সরকার কর্তৃক করোনার টিকা প্রদানের বিষয়ও জড়িত বলেও জানান পিয়ার্স।
দীর্ঘমেয়াদে একবার বিশ্বে ভ্রমণসংক্রান্ত যে নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে, সেটি যদি তুলে নেয়া হয় এবং সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়ে যায়, তাহলে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল সবার আগে দ্রুতগতিতে সচল হবে। সেই সঙ্গে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের যাত্রীর সংখ্যা বার্ষিক ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। যেখানে আফ্রিকায় এ হার ৫ শতাংশ, পশ্চিম ইউরোপে ২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং উত্তর আমেরিকায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ।