চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের মৃত্যুতে কানাডাসহ উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গত ৬ আগস্ট বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। করোনা ভাইরাস সংক্রামনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, একজন সহকর্মী হিসেবে তিনি যেমন ছিলেন বিশ্বস্ত, সদা বন্ধুসুলভ, পাশাপাশি তার দেশপ্রেম ছিল তুলনাবিহীন। শিক্ষক, গবেষক হিসেবে তিনি দেশের জন্য অকাতরে কাজ করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডার সভাপতি এএমএম তোহা ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন এক যৌথ বিবৃতিতে কানাডায় বসবাসরত এলামনাইদের পক্ষ থেকে ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি বিনম্র সহানুভূতি জানান।
বিশিষ্ট কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মাহমুদ হাসান বলেন, শ্রেণিকক্ষে ড. গাজী সালেহ উদ্দিন ছিলেন দল মত নির্বিশেষে সবার প্রিয় শিক্ষক, সমাজবিজ্ঞানের একজন গবেষক পণ্ডিত, ফ্যাকাল্টিতে ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক, লেখক হিসেবে ব্যতিক্রমী পাণ্ডিত্য যেমন ছিল, অন্যায়, অনিয়ম, সাম্প্রদায়িকতা, আর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কলমযুদ্ধের পাশাপাশি রাজপথেও ছিলেন সোচ্চার।
উদীচী কানাডা সংসদের পক্ষে মিনারা বেগম, চবি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল আলম চৌধুরী, কানেকটিকাট প্রবাসী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব হালিম আকবর, কাজী তোফায়েল আহমেদ জুয়েলসহ অগনিত ছাত্র ছাত্রী ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডঃ গাজী সালেহ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ৮ আগস্ট শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার শেষে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।