যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একজন হাইতিয়ান নারী অপুষ্ট মস্তিষ্কের এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন। জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শিশুটি মাইক্রোসেফালি নামক এই ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে।
জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে রাজ্যটিতে এই প্রথম এ ধরনের ত্রুটি নিয়ে শিশুর জন্ম হল বলে মঙ্গলবার ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
ওই নারী তার নিজের দেশে এডিস মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হন। এরপর শিশুর জন্ম দেওয়ার জন্য তিনি ফ্লোরিডায় ফিরে আসেন বলে এক বিবৃতিতে রাজ্যটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র নিশ্চিত করলে এ হবে দেশটিতে অপুষ্ট মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মানো পঞ্চম শিশু যাদের মায়েরা জিকার প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন দেশ ভ্রমণ করেছিলেন।
এরআগে আরও চার গর্ভবতী নারী অপুষ্ট মস্তিষ্কের শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই ভ্রমণজনিত কারণে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে মশাবাহিত এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হননি।
এডিস মশাবাহিত এই ভাইরাইসের কারণে চলতি বছর বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র নিশ্চিত করেছে, শিশুজন্মের বড় ধরনের ত্রুটির জন্য এই ভাইরাস দায়ী।
গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন, জিকার বর্তমান প্রদুর্ভাবের যে প্রকৃতি তাতে দক্ষিণ আমেরিকার বিশাল অংশ ঝুঁকিপূর্ণ। ওইসব অংশে বসবাসকারী মোট ২২০ কোটি মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বিরল। আর সাধারণত জিকা আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনে একজনের মধ্যে এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
হালকা জ্বর, চোখ লাল হওয়া, মাথাব্যথা, হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা এবং চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়ি হচ্ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষ সাময়িকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন।
এখনো পর্যন্ত জিকা ভাইরাসের কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। চিকিৎসকেরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এখনো পর্যন্ত সবচে উদ্বেগের কারণ গর্ভের শিশুর উপর ভাইরাসটির প্রভাব।