বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে সরাসরি পণ্য পরিবহনে যুক্তরাজ্যের পর জার্মানির নিষেধাজ্ঞায় এখনও রফতানি বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব না পড়লেও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের জন্য ইমেজ সঙ্কট সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ ও শাহজালাল বিমানবন্দরে স্ক্যানিং সমস্যায় সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যেও কমে গেছে সবজি রফতানি।
এছাড়া তৃতীয় দেশে স্ক্রিনিংয়ের কারণে এয়ারলাইন্সগুলোর খরচ বাড়ায় আকাশপথে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবহারকারীরা। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ঘাটতির কারণ দেখিয়ে গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ থেকে বিমানে সরাসরি পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এরপর নিরাপত্তার ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিলেও এখন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়নি। এতে হিমায়িত খাদ্য ও সবজি রফতানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে তৃতীয় দেশে এজেন্ট না থাকায় ব্যবসা হারাচ্ছেন আকাশপথে পণ্য পরিবহনের সাথে যুক্ত ফ্রেইটফরওয়াডাররা।
এদিকে একই কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি জার্মানির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে কার্গো পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, ইউরোপের দুটি দেশের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে তৃতীয় দেশে স্ক্রিনিংয়ের ফলে বিমানে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ বেশি লাগছে। এছাড়া ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্লেষকদের মতে, অচিরেই এই সঙ্কটের সমাধান না হলে জরুরি মহূর্তে বিমানে পণ্য রপ্তানি ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হবে। অন্যদিকে সবজি ও দেশীয় ফলমূলের রফতানির বাজার হারাবে বাংলাদেশ।