বিমান বন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছা বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীমকে

তিলাওয়াতে বিশ্বজয়ী সালেহ আহমাদ তাকরীম দেশে ফিরল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টার কিছুক্ষণ আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি। রাত ৩টার দিকে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসে তাকরীম। ওই সময় তাকরীমকে বরণে বিমানবন্দরে উপচে পড়া ভিড় ছিল। বিমানবন্দর গেটে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শিগগিরই বড় পরিসরে তাকরীমকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশি এই খুদে হাফেজ। তাকে এক লাখ রিয়াল (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

এর আগে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম সপ্তম স্থান অর্জন করে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জনের পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করে তাকরীম।
বিমানবন্দর গেটে সালেহ আহমাদ তাকরীমকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

গত ২২ মে আন্তর্জাতিক কিরাত সংস্থা বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে লিবিয়ার বন্দরনগরী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত দশম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।

এর আগে তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তাকরীম বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা বিশ্বদরবারে সমুন্নত করে। ২০২০ সালের রমজান মাসে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় সালেহ।

হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম রাজধানীর মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী, ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামে। বাবা হাফেজ আবদুর রহমান মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী।

আবদুর রহমান জানান, ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল তাকরিম। ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।
বিমানবন্দরে বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীমকে ফুলেল অভ্যর্থনা

 

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.