সিলেটে পাসপোর্ট অফিস আয়োজিত মতবিনিময় সভাতেই হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা বলে ক্ষোভ ঝাড়লেন ভুক্তভোগীরা। তারা বলেন, দালাল ছাড়া পাসপোর্ট মিলেই না।
দালালদের ‘বিশেষ চিহ্ন’ দেওয়া ফাইল ছাড়া ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তুলতে গেলেও হয়রানির শিকার হতে হয়। এমন অভিযোগের সময় মঞ্চে থাকা পাসপোর্ট অফিসের কর্তাদের মাথা অনেকটা হেঁট হয়ে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অংশীজনদের সমন্বয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ভুক্তভোগীরা এসব অভিযোগ করেন।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের পরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রশাসন সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। অনিয়মের কৌশলগুলো জানা থাকায় এখন ভুক্তভোগীদের সমস্যা দ‚র করতে স্থানীয় প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ বলেন, পাসপোর্ট অফিসকে কিভাবে ঘুস-দালালমুক্ত করতে হবে সেটা সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের পরিচালককেই নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, আমার ঘনিষ্ঠ এক ছাত্রলীগ নেতা গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট করতে গেলে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুস নেওয়া হয়। তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০০ মানুষ পাসপোর্ট কার্যালয়ে যান। গড়ে দুই হাজার টাকা দিলে প্রতিদিন ১৬ লাখ টাকার ঘুস লেনদেন হয় সিলেট পাসপোর্ট কার্যালয়ে।