মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির গণমাধ্যমকে একহাত নিলেন। বললেন, শুধু হিলারি ক্লিনটনই না, দেশের অসৎ গণমাধ্যমের বিরুদ্ধেও লড়ছেন।
কানেটিকাটের ফেয়ারফিল্ডে গত শনিবার রাতে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু অসৎ হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধেই লড়ছি না। আমি অসৎ ও দুর্নীতিগ্রস্ত গণমাধ্যমের বিরুদ্ধেও লড়ছি।’
রোববার ট্রাম্প দেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে দেওয়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধেও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র ও অন্যদের যা ইচ্ছে তা-ই বলার এবং লেখা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার আওতায় পড়ে না। ডাহা মিথ্যা কথা বলা বা লেখা কখনোই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না।’ গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই বিষোদ্গার কিন্তু এই প্রথম নয়। এর আগে তিনি মার্কিন কংগ্রেসকে মানহানির আইন চালুর পরামর্শ দেন। যার মাধ্যমে মানুষ গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। ট্রাম্প এমন কথা বললেও, একাধিকবার তিনি নিজে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়া ট্যাবলয়েড পত্রিকার রগরগে কাহিনি থেকে নানা কথা বলেছেন তাঁর বক্তৃতায়।
গণমাধ্যমের ওপর ট্রাম্পের নাখোশ হওয়ার কারণ তিনি নিজেই বলেছেন। ট্রাম্পের রোববার টুইটার বার্তায় অভিযোগ করেন, ‘আমার সমাবেশ পুরোপুরি কভার করে না গণমাধ্যম। তারা আমার মূল বক্তব্য তুলে ধরে না। জনসভায় লোকসমাগমের চিত্র তারা দেখায় না, মানুষের উচ্ছ্বাসও তাদের রিপোর্টিংয়ে অনুপস্থিত থাকে।’
ট্রাম্পের দীর্ঘ বক্তৃতা অনেক সময়জুড়ে সাংবাদিকদের তুলাধোনা করায় ব্যস্ত ছিল। গণমাধ্যমের প্রতি বিষোদ্গারে ব্যস্ত ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কিন্তু পড়তির দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভাগ্য নির্ধারণী রাজ্যগুলোতে তিনি হিলারির চেয়ে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম ভার্জিনিয়া, কলোরাডো ও পেনসিলভানিয়া। এনবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ভার্জিনিয়া ও কলোরাডোতে হিলারির চেয়ে ট্রাম্পের ব্যবধান দুই অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছে গেছে। জাতীয় পর্যায়ে ট্রাম্প এখন হিলারির চেয়ে ৭ থেকে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে। ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসির সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, হিলারির প্রতি ৫০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আছে। আর ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ৪২ শতাংশ ভোটারের। আবার ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করা রিপাবলিকানদের সংখ্যাও বাড়ছে।
আরও খবর