অবশেষে কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে বিচ্ছেদের কাগজ পাঠালেন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। জানান, অনেক চেষ্টার পরেও নোবেল ‘মাদক’ না ছাড়ায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত সালসাবিল গত বছরও নিয়েছিলেন। তবে সেটি তখন স্থগিত রেখেছেন নোবেলের ‘ভালো’ হওয়ার আশায়। কিন্তু তাতেও কোনও পরিবর্তন হয়নি বলে এবার নিয়েছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সালসাবিল বলেন, ‘‘তালাকের চিঠি আগেই দিয়েছিলাম। তালাক কার্যকর হতে তিন মাস সময় লাগে। কিন্তু চাইলে সেটাকে স্থগিত করা যায়। আমি ‘নোবেলের পরিবর্তন’ হবে, এমন আশায় সেটাকে স্থগিত রেখেছিলাম। আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) সেটা কার্যকর করেছি।’’
এদিকে এক ফেসবুক পোস্টে বৃহস্পতিবার সালসাবিল মাহমুদ বলেন, ‘‘আমি হয়তো বা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা, যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয়, আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনও মাদক ছাড়বে না এবং এটাও বলেছে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম’। এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।’’
নোবেলের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে অনেকের হাত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নোবেল কখনোই এত অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে। যার মধ্যে রয়েছেন সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী।’
সালসাবিলসবশেষে নোবেলের স্ত্রীর বলেন, ‘আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনও দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশপাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন। তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও রয়েছে।’
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নিয়মিত বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছেন ২০১৯ সালে ভারতের জি-বাংলা টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-তে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসা নোবেল।
এরমধ্যে নোবেলের গানের ভিডিওতেও হাজির হয়েছেন সালসাবিল। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নোবেল।