শাহজালাল বিমানবন্দরে স্বর্ণের বারসহ দু’জন আটক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমানবন্দরে কর্মরত এক কফিশপ স্টাফ এবং যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে ৫টি স্বর্ণের বার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে তাদের আটক করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন গোয়েন্দা দল।

আটক দু’জন হলেন বিমানবন্দরে এক কফিশপের স্টাফ জাভেদ ও যাত্রী বেলায়েত মোল্লা। ঢাকার মিরপুরের অধিবাসী জাভেদ ও বেলায়েত মাদারীপুরের কালকিনির বাসিন্দা।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, শুক্রবার সকালে ইকে-৫৮২ ফ্লাইটযোগে বেলায়েত মোল্লা ঢাকায় অবতরণ করেন। এদিকে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রী বেলায়েত বিমান থেকে নামার পর থেকেই নজরে রাখছিল এপিবিএন। এ সময় তিনি আগমনি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে ওপরে ডিপার্চার এলাকায় প্যাসেঞ্জার ওয়েটিং এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। ফোনে যোগাযোগ করেন একটি কফিশপের স্টাফ জাভেদের সঙ্গে। স্বর্ণের বারগুলো জাভেদকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বের করে নেওয়ার জন্য হ্যান্ড ওভার করেন যাত্রী বেলায়েত। এরপর অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু করেন। কফিশপের স্টাফ জাভেদ এ সময় বার গুলি নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে কাস্টমস চ্যানেলের পর বেলা ১২টায় তাকে আটক করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন গোয়েন্দা দল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, জাভেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি র্স্বণ পাচারের চেষ্টায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং যাত্রীর পরিচয়ও নিশ্চিত করেন। পরে ওই যাত্রীও কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল পার করলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় দুজনেই যোগসাজশে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তাদের তল্লাশি করে ৫টি স্বর্ণ বার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৬৭৯ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫৩ লাখ টাকা।

জাভেদ জানান, প্রতিটি স্বর্ণের বার পাচারে সহায়তায় তিনি ৫ হাজার টাকা করে পাবেন চুক্তিতে এ কাজে সহায়তা করছিলেন। যাত্রী বেলায়েত মোল্লার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি একজন ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার। প্রতিমাসেই তার দুবাই যাওয়া আসার প্রমাণ পাওয়া যায়।

উভয়ের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.