রাজের ভাই পরিচয়ে একজন ডিভোর্স লেটার নিয়ে গেছেন

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনির সংসার ভেঙেই গেল। রাজের সঙ্গে তার একসঙ্গে পথচলা দেড় বছরের বেশি স্থায়ী হয়নি। রাজ বহুদিন ধরেই পরীর সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকছেন না। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেল তাদের।

ঢালিউডের আলোচিত এই জুটির দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা আলোচনায় এসেছে। কখনো বিদ্যা সিনহা মিম, কখনো সুনেরাহ বিনতে কামালসহ কয়েকজনের সঙ্গে রাজের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন পরীমনি।

এসব বিতর্কের ইতি ঘটে গেল আপাতত। যদিও রাজ জানিয়েছেন তিনি এখনও ডিভোর্ট লেটার পাননি। তবে পরীমনি নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি রাজকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছেন। কাজি অফিস থেকে এক যুবক রাজের ভাই পরিচয়ে সেই চিঠি নিয়ে গেছে।   ১৮ সেপ্টেম্বর রাজের দেশের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকানায় পরীমনি বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন। ডিভোর্স লেটারে পরীর পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে- পরীমনি চার কারণে রাজকে ডিভোর্স দিতে চান। কারণগুলো হলো- মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া ও মানসিক অশান্তি।

ডিভোর্সের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বুধবার সন্ধ্যার পর কাজি আবু সাইদ বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর আমাদের সঙ্গে পরীর পক্ষের লোকজন যোগাযোগ করেন। লেটারে উল্লিখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর পরীমনির আইনজীবীর গুলশান অফিসে ডিভোর্স হয়েছে। সেখানে আমার সহকারী আলী আশরাফ উপস্থিত ছিলেন। পর দিন ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তর বাড্ডার আলীর মোড়ে সাতারকুল রোডের আমার অফিস থেকে ডিভোর্স লেটার রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই দিনই দুপুর ১২টার দিকে রাজের গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছি।

কাজি আরও বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পরপর তিন মাস এই চিঠি পাঠানো হবে। যদি রাজ এই চিঠি গ্রহণ না করেন, তাহলে ৯০ দিন পর তাদের ডিভোর্স হয়ে যাবে। আর যদি তিন মাসের মধ্যে তাদের আবার বনিবনা হয়, নিজেদের মধ্যে একটা সমাধান হয়, তাহলে আবারো তারা সংসার করতে পারবেন।

তিনি বলেন, শুনেছি রাজ খবরটি জানতেন না। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজের ভাইয়ের পরিচয়ে একজন আমার অফিসে এসেছিলেন। তিনি কাবিননামার কপি ও ডিভোর্স সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে গেছেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে ঘুম থেকে উঠেছি। কিছু জানি না। আর কোনো ডিভোর্স লেটারও পাইনি। কোন ঠিকানায় পাঠিয়েছে, তাও তো জানি না।

ডিভোর্সের ব্যাপারে পরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন, ফেসবুক সবই বন্ধ পাওয়া গেছে।

২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত বছরের ২১ জানুয়ারি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ও ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিয়ে হয়। রাজের সঙ্গে সংসার জীবনের ১০ মাসের মাথায় তার কোলজুড়ে আসে সন্তান। একদিন পর ছেলের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেন নায়িকা। তিনি জানান, রাজের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নাম রেখেছেন ‘শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য’।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.