পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া আউট ইন্ডিয়া বয়কট মিছিল করেছে ১২ দলীয় জোট।
আজ শনিবার বেলা ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ১২ দলীয় জোটের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ।
পরে পুলিশের মারমুখী আচরণে সমাবেশটি বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ১২ দল নেতাকর্মীদের জোটের ব্যানার ও ফেস্টুন কেড়ে নেয়। পরে নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
রাজধানীর তোপখানা রোডে বিএমএ ভবনের সামনে শনিবার এই সমাবেশ পণ্ড হয়। পরে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেলিম জনগণকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান। তিনি বলেন,দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
সরেজমিন দেখা যায়, বেলা ১১টার দিকে ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা সমাবেশের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তারা স্লোগানও দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং জোট নেতাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে নেতারা পুলিশি বাধায় সমাবেশ না করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহেসানুল হুদা বলেন, বয়কট ইন্ডিয়া আন্দোলন চলমান আছে এবং এই আন্দোলন চলবে তিনি বলেন পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রে আমরা দেখেছি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিক জনগণ প্রতিবাদে সোচ্চার থাকে কিন্তু আমাদের দেশে দিল্লির তাবেদার সরকার মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। হুদা দেশের আপামর জনগণকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহবান জানান।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ১২ দলীয় জোটের আন্দোলন চলছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন।
কর্মসূচির শুরুতে ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন উপস্থিত ছিলেন।