ঢাকা: হরতাল-অবরোধে নাশকতার আশঙ্কার মধ্যেই রাত ৯টার পর দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সরকার ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে রাতে দূরপাল্লার বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, রাত ৯টার পর দূরপাল্লার বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার পর দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধে সরকার ও মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাতে বিশেষ করে ঢাকার বাইরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল মেরে মানুষ হত্যার ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই সিদ্ধান্ত হয়।
৯ ফেব্রয়ারির বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী গাড়ি চলবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, বরিশালের গৌরনদী, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, তুলশীঘাট, নওগাঁ এবং রংপুরকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
সরকার ও মালিক পক্ষের ওই সিদ্ধান্তের এক মাস পর বৃহস্পতিবার সারাদেশে দূরপাল্লার বাস চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো।
সহিংসতায় ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বাস চলাচলে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে।