কোম্পানি গঠনের পরও ডানাভাঙা বিমান

315px-biman_bangladesh_airlines_logo-svgপ্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে মনুষ্যসৃষ্ট যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। সামনে চলে আসছে লোকসানের বৃত্ত থেকে বিমানের বের হতে না পারার বিষয়টিও। অব্যাহত লোকসান থেকে বেরিয়ে আসতে ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই বিমানকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত করা হয়। সে সময় বাংলাদেশ বিমান করপোরেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড। বর্তমানে বোর্ডের আওতায় চলছে জাতীয় পতাকাবাহী এই এয়ারলাইনসটি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে হলেও জবাবদিহিতা কেবল বোর্ডের কাছেই। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিমানের কাজ হচ্ছে কেবল ঋণ, চুক্তি, অডিটসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক প্রয়োজনীয়তা রক্ষা করা। বিমানকে ‘অযাচিত’ হস্তক্ষেপ থেকে স্বাধীন করে কোম্পানির আওতায় ছেড়ে দিলেও অর্থের প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নিতে হয় ঠিকই। কিন্তু কোম্পানি গঠনের পর এই ১০ বছরে কাজের কাজ কী হয়েছে তার কোনো উত্তর নেই।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর সেবার মানের ভিত্তিতে পরিচালিত স্টার রেটিংয়ে তালিকার নিচের দিকে রয়েছে বাংলাদেশ বিমান। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্কাইট্রাক্স প্রকাশিত রেটিংয়ে বিমানকে দুই তারকা সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জরিপের বিবেচনায় পুওর বা নিম্নমানের এটি। চার বছর ধরে এ মান নিয়েই রয়েছে বিমান।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পতাকাবাহী একমাত্র উড়োজাহাজ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সার্বিক গ্রাহক সেবাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা নিম্নমানের। বিমানের সার্বিক অবস্থা, পণ্যের তথ্য সরবরাহ, ওয়েবসাইট ও গ্রাহক সেবার মান এবং ফাইট ছেড়ে যাওয়া ও যাত্রা বিরতির বিষয় বিবেচনায় রেখে সংস্থাটির রেটিং নিম্নমানের দেখানো হয়েছে। ১৬০টি দেশের ২৪৫টি এয়ারলাইনসের ১ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সঠিক নেতৃত্ব ও পরিকল্পনার অভাব এবং দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে ডুবছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় জ্বালানি সাশ্রয়ী ও নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বহরে যোগ করা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। কমছে যাত্রী পরিবহনের হার। একেক সময় রুট চালু হয় কিছুদিন পর তা বন্ধ হয়ে যায় যাত্রীর অভাবে। তবে অফিস ব্যয় এবং স্টাফের বেতন-ভাতা চলতে থাকে যুগ যুগ ধরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হচ্ছেÑ বন্ধ হওয়া ঢাকা-নিউইয়র্ক ফাইট আজও চালু হয়নি। ২০০৬ সালে ওই ফাইট বন্ধের পর থেকে খরচ দেখানো হচ্ছে আগের মতোই। আর বিমানে বিদেশে পদায়নে নেই সুনির্দিষ্ট রীতি। ফলে পছন্দের লোককে যখন-তখন প্রাইজ পোস্টিং দেওয়া হয়। আরেকটি বড় সমস্যা নিয়োগে অনিয়ম। অন্যান্য সংস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএসসি ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রাখতে হয়। কোম্পানির সুবিধায় বিমান ইচ্ছামতো যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারে। নেই কোনো সংস্থার প্রতিনিধিরা।

এদিকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব রহমাতুল মুনিম এক তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানের লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, বিমানে এমনভাবে বিধিবিধান করে নেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রকৃত মেধাবীরা কম সুযোগ পাচ্ছেন। বিমানের একজন পরিচালক জানিয়েছেন, যখন যে বিভাগে লোক দরকার সেই বিভাগের পরিচালক বোর্ডে নোটিশ দিয়ে লোক নিয়োগ করছেন। ভিভিআইপি ফাইটে নাট ঢিলে হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের মান আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় কেউই মন্তব্য করতে নারাজ। তবে বিমানে করেই স্বর্ণ চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে কর্মীদের জড়িয়ে পড়া এবং সেবার মানের বিষয়টিও তদন্তে বেরিয়ে আসছে। গতকাল মঙ্গলবারও মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। কমিটির সদস্যরা যান্ত্রিক ত্রুটির রহস্য জানতে গিয়ে বিমানের নানা অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে পড়ছে বলে জানান বিমানেরই একাধিক কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিমানের আরেকটি নেতিবাচক দিক হচ্ছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবসরে চলে যাওয়ায় এখন ডিপ্লোমা পাস ইঞ্জিনিয়াররা রয়েছেন প্রভাব বিস্তারের জায়গায়। প্রতিযোগী বেসরকারি এয়ারলাইনসের সঙ্গে টিকতে না পারার আরেকটা কারণ হচ্ছে নিজেদের কেবল চাকরিজীবী মনে করে বিমানকর্মীরা। এটি ব্যবসায়িক খাত এবং এজন্য প্রতিযোগিতায় টিকতে হবেÑ এ ধরনের মানসিকতা নেই বললেই চলে। কোম্পানি গঠনের এক পর্যায়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হিসেবে বিদেশি ব্যক্তি নিয়োগের চিন্তা আসে। এর ধারাবাহিকতায় দুই ধাপে দুইজনকে বিপুল অর্থে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বেতন নির্ধারণ করা হয় প্রায় ১৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাসাভাড়া, গাড়ি-সুবিধা ও বছরে বিজনেস কাসের ১২টি টিকিট পেয়েছিলেন বিনামূল্যে। তাতেও পুরোপুরি কাজ না হওয়া অথবা বিমানের বোর্ডের সঙ্গে সিদ্ধান্তের অমিলের কারণে দুজনই মেয়াদ শেষ না করেই বিদেশ পাড়ি জমান।

সূত্রমতে, বিমানের আরেকটি বড় সমস্যা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিস। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমানই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছে শুরু থেকে। আবার একই সময় থেকেই বদনাম কামাই করছে সংস্থাটি। বিদেশিদের কাছে ভাবমূর্তির ক্রমাগত অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে যৌথভাবে এ সেবার সিদ্ধান্ত। তবে এরও গতি কম। সংস্থার আয়ের অন্যতম উৎস এই সেবা হলেও মান বাড়াতে উদ্যোগী হয়নি। বারবার জনবল সংকটের দোহাই দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা যে ৪ শর্তে বিমানকে কোম্পানি করা হয়েছে তা পুরোপুরি পূরণ হয়নি। শর্তগুলো হচ্ছে বিমানের জনবল ৬৮৮৩ থেকে ৩৪০০ করা; বিমানের বিদ্যমান ট্রেড ইউনিয়নের অনৈতিক কর্মকা- নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া; বিমানের জেট এ ১ ফুয়েলের দাম নির্ধারণ, আমদানি ও সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়টি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিমানের ব্যবহার্য রুটস, ট্রাফিক রাইটস, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং রাইটসহ সম্পদসমূহ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এসবের মধ্যে জনবল কাঠামো ভিআরএসের (ভলান্টারি রিটায়ার্ড স্কিম) মাধ্যমে ৩৪০০-এ নামিয়ে আনতে বিপুল অঙ্কের অর্থ গুনতে হয় বিমানকে। স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ স্কিমের আওতায় ১৮৭৭ জনকে ৩০৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয় তখন। এর পর এ বিষয় মামলায় গড়ালে তাতেও খরচ হয় এবং পরে ভিআরএসপ্রাপ্ত লোকদের নিয়োগ দিতে হয় এবং হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে তখন থেকেই অতিরিক্ত লোক দিয়ে বিমানকে চালিয়ে নিতে হয়। বিদ্যমান জনবল পাঁচ হাজারের অধিক। রয়েছে সিবিএ’র নিয়ন্ত্রণও। সব মিলিয়ে কোম্পানি গঠনের শর্ত পালনেও কার্যত ব্যর্থ সংস্থাটি।

বিমান সূত্র জানায়, পাবলিক লিমিটেড করার পর ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৫ কোটি ১৯ লাখ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা মুনাফা করতে সমর্থ হয় বিমান। কিন্তু ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে আবারও লোকসান দিতে শুরু করে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৮০ কোটি, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৯১ কোটি, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৬০০ কোটি ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২১৪ কোটি টাকা লোকসান দেয় বিমান। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছে।

বিমান হিসাব শাখা থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের পর বিমানের লোকসানের প্রবণতা বেড়েছে। ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে গত ১৮ বছরে বিমান লাভের মুখ দেখেছে মাত্র চার বছর। সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরে লাভ করে বিমান। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর বিমানের সাবেক প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়। এর পর আবার লোকসানে যায় বিমান। জামাল উদ্দিন না থাকলেও এখনো সেই ধারা থেকে বেরুতে পারেনি সংস্থাটি। বিমান বোর্ডে ১০ জন পরিচালক রয়েছেন। এর মধ্যে একজন পরিচালক হিসেবে থাকেন মন্ত্রণালয়ের সচিব। সুতরাং বোর্ডের সিদ্ধান্তে বা কার্যক্রম বড় ধরনের ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই মন্ত্রণালয়ের সচিবের। আর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও অনেকটা ঠুঁটো জগন্নাথ। বিমানের কিছু অনুষ্ঠানাদিতে উপস্থিত থাকা আর উদ্বোধন করা ছাড়া মন্ত্রীর খুব একটা ভূমিকা নেওয়ার সুযোগ নেই বিদ্যমান পিএলসি (পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি) আইন অনুযায়ী।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বিমান চলে কোম্পানি আইনে। বিমান এখন এমন অবস্থায় সেটি হলো না কোম্পানি আবার না পুরোপুরি মন্ত্রণালয় অধীনস্থ সরকারি সংস্থা। মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হলেও রিলেটেড বিষয় থাকলে কেবল তা জানানো হয়। অর্থাৎ মন্ত্রণালয় ততটুকু জানতে পারে যতটুকু জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, সম্প্রতি বিমান বহরে নতুন প্রজন্মের একের পর এক উড়োজাহাজ যুক্ত হলেও যাত্রী পরিবহন বাড়াতে পারছে না। অথচ এ সময়ে বেড়েছে গন্তব্য এবং যাত্রী পরিবহনের মতা। দুই দশক ধরে বিমানের কর্তাব্যক্তিরা বলে আসছিলেন, উড়োজাহাজ সংকট ও বহরে থাকা দীর্ঘদিনের পুরনো উড়োজাহাজের অতিরিক্ত জ্বালানি খরচের কারণে লোকসান হচ্ছে। কিন্তু এখন পুরেনো উড়োজাহাজ (ডিসি-১০ ও এফ-২৮) বাদ দেওয়া হয়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ রয়েছে বহরে। তার পরও কেন লোকসান দিতে হচ্ছে এই প্রশ্নের সদুত্তর নেই বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে। সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা জানান, আধুনিক উড়োজাহাজের যথোপযুক্ত ব্যবহার, এর জন্য বৈমানিকসহ ক্রু পরিকল্পনা কী হবে এবং প্রতিযোগিতার বাজারে যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে কী ধরনের বিপণন কার্যক্রম চালানো হবে, এসবের জন্য কার্যকর কোনো পরিকল্পনা বিমান নিতে পারেনি।

মন্ত্রণালয়ের একজন সাবেক কর্মকর্তা জানান, বোয়িং কোম্পানি একটি বাণিজ্যিক পরিকল্পনা করে দিয়েছিল। কিন্তু পরে সেটা আর অনুসরণ করা হয়নি। অনেক রুট চালু করা হয় অপরিকল্পিত চিন্তা থেকে। তাছাড়া কাছের গন্তব্যে সুপরিসর বোয়িং পরিচালনা ব্যয়সাধ্য ব্যাপার। অথচ তা-ই করা হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা-লন্ডন গন্তব্যে একমাত্র বিরতিহীন সরাসরি ফাইট আছে বাংলাদেশ বিমানের, তা-ও নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত। কিন্তু বিমান যাত্রীসেবার মান ঠিক রাখতে না পারায় অভিজাত শ্রেণির (বিজনেস কাস) যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না। অথচ বিজনেস কাস পুরো জাহাজের চার ভাগের এক ভাগ জায়গা নেয় আর রাজস্ব দেয় তিন ভাগের দুই ভাগ।

সর্বশেষ বিমানের বিপণন বিভাগের পরিকল্পনা হচ্ছেÑ নতুন ছয় আন্তর্জাতিক রুটে ফাইট চালু করা। এর মধ্যে পাঁচটি রুটের ফাইট চলতি অর্থবছরের শীতকালীন সময়সূচিতে শুরু করা। আর টোকিওতে ব্যবসায়িক সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। উড়োজাহাজ সংগ্রহ ও ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক মনে হলে ২০১৭ সালে গ্রীষ্মকালীন সময়সূচিতে টোকিও রুটে ফাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বিমানের। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শীতকালীন সময়সূচিতে গুয়াংজু, কলম্বো, মালে, দিল্লি ও হংকং রুটে বিমানের ফাইট সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনাশেষে বিমান বাস্তবে কবে লাভের মুখ দেখবে তা জানতে উদগ্রীব সবাই।
সূত্রঃ আমাদের সময়

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.