মানুষের ব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বাড়ছে আকাশপথে যোগাযোগ। ফলে বেড়েছে, দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্স ও যাত্রীর সংখ্যা। অথচ ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে’ সেভাবে বাড়েনি রুটের সংখ্যা। যাত্রীচাপ থাকলেও কেবল ১৫টি আন্তর্জাতিক ও ৭টি অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে চলাচল করছে হাতেগোনা কয়েকটি ফ্লাইট।
এই সুযোগে এদেশে ব্যবসা বাড়িয়ে চলেছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো।
বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে এরইমধ্যে বিমানের উড়োজাহাজের বহরে যোগ হয়েছে, ৪টি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও ২টি ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট।
এছাড়া, ২০১৮ ও ১৯ সালে আরো যোগ হবে সর্বাধুনিক নতুন ৪টি ‘বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭’। যা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিকে নিতে পারে অন্য উচ্চতায়।
এদিকে যাত্রীর চাপ থাকায় অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ালেও, আন্তর্জাতিক বা অভ্যন্তরীণ কোন রুটেই তা বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ বিমান।
এদিকে বিমানমন্ত্রী জানালেন, নতুন ২টি বোয়িং না আসা পর্যন্ত চাহিদামাফিক রুট নির্বাচন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে নতুন রুট নির্বাচনে আরো কৌশলী হতে হবে বিমান কর্তৃপক্ষকে। বহরে যোগ হওয়া নতুন উড়োজাহাজগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের পরামর্শও দেন তারা।
যাত্রী চাহিদা মাথায় রেখে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে বিমানকে এগিয়ে নিতে পারলে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি।
আরও খবর