নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুধবার ভোরে মশার কয়েল থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে এদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভোরে কোতালেরবাগ হকবাজার এলাকায় জাকির মিয়ার বাড়ির তৃতীয় তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে দগ্ধ হন-শ্রীনগর নাথ চন্দ্র বর্মণ (৩৫), তার স্ত্রী মতি অর্চনা (৩২), তাদের মেয়ে অনামিকা (১৫), ছেলে অর্পিত (১০), বর্মণের মা ছায়া রানী (৬০), বর্মণের বোন সুমিত্রা (২৭), বোনজামাই নারায়ণ চন্দ্র হরিদাস (৪০) ভাগ্নে প্রমিত (১৪) ও শাওন (১০)।
তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ছায়া রানী ও সুমিত্রা আজ সকালে মারা যান।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, ছায়া রানীর শরীরের ৯০ শতাংশ ও সুমিত্রার শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে যায়।
বাড়ির প্রতিবেশীরা জানান, রাতে ঘুমানোর সময় পরিবারটি কয়েল জ্বালিয়ে রেখেছিল। ওই কয়েলের আগুন কাপড়ে ও আসবাবপত্রে লেগে তা পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই সময় পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।