ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এরদোয়ানের ‘অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এরদোয়ানের ‘অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি’।

দুই সপ্তাহ আগে সবাইকে অবাক করে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার ধাক্কা লেগেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত। এ ঘোষণার সঙ্গে একমত না হতে পেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস পদত্যাগ করেন। কিন্তু নিজের মতো থেকে সরে আসেননি ট্রাম্প।
সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টেলিফোনে কথা বলেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে। ওই এক ফোনালাপের পরেই সিরিয়া-তুরস্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বেকার নীতিগত সিদ্ধান্ত ওলট-পালট হয়ে যায়।

ওই ফোনালাপে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে কী কথা হয়েছিল তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

রয়াটার্সের খবরে বলা হয়েছে, একজন তুর্কি কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প এরদোয়ানকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমরা যদি আমাদের সেনাদের সরিয়ে নেই তাহলে আপনারা কি আইএসকে উৎখাত করতে পারবেন?’ জবাবে এরদোয়ান বলেছেন, ‘তুর্কি সেনারা এই কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’ তখন ট্রাম্প বলেন, ’তাহলে কাজ শুরু করো।’

রয়টার্স বলছে, এরদোয়ানের সঙ্গে ওই কথা শেষ করেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে ট্রাম্প বলেন, সিরিয়া থেকে আমাদের সেনাদের প্রত্যাহার শুরু করো।

তবে ট্রাম্পের ওই আদেশের সঙ্গে একমত হতে পারছিলেন না জন বোল্টন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস। তারা ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন জিম ম্যাটিস।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে তুরস্কের জন্য ‘চাওয়ার চেয়ে বেশি পাওয়া’ বলে মন্তব্য করেছেন ওই তুর্কি কর্মকর্তা। তুরস্কের দাবি ছিল, সিরিয়ার কুর্দিদের যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য না করুক। কিন্তু ট্রাম্প তার সামরিক বাহিনীকেই প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা তুরস্কের জন্য বেশ ‘অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি’।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.