যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বছর আটেকের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, আমাদের দ্রুত গতির ডেটা চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে ইন্টারনেটের ধারণ সক্ষমতা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। ফলে ওয়েব চালু থাকা নিয়ে তৈরি হচ্ছে সংকট।
ধারণক্ষমতা সংকুচিত হয়ে যাওয়ার সংকট থেকে উদ্ধার পেতে চলতি মাসেই লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশলী, পদার্থবিদ, টেলিটম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বিশেষ সভায় বসছেন।
ইন্টারনেটভিত্তিক টিভি দেখার হার বৃদ্ধি, স্ট্রিমিং সেবা ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অধিক শক্তিশালী কম্পিউটারের ব্যবহার ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ অবকাঠামোর ওপর চাপ তৈরি করেছে।
গবেষকেরা বলছেন, শুধু গত এক দশকে ইন্টারনেটের গতি ৫০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। এতে অপটিক্যাল ফাইবারের ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে গেছে এবং এতে আর অধিক আলো স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। অপটিক্যাল ফাইবারে আলোক ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। গবেষকেরা বলছেন, ইন্টারনেটের এই সমস্যার আপাত সমাধান হিসেবে হয়তো আরও বেশি কেবল স্থাপন করা যেতে পারে। কিন্তু তাতে ইন্টারনেটের খরচ আরও বেড়ে যাবে।
বার্মিংহ্যামের অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্ড্রু এলিস বলেছেন, ‘সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে।’
অপটিক্যাল ফাইবার হচ্ছে নমনীয়, স্বচ্ছ তন্তু যা মানুষের চুলের সমান পুরু। এর মধ্য দিয়ে তথ্য আলোতে রূপান্তরিত হয় এবং ফাইবারের মধ্যে দিয়ে গিয়ে আবার তথ্য হিসেবে দেখাতে পারে। এতদিন চাহিদা বাড়াতে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক তথ্য সরবরাহ করেছে। এখন আর এই ফাইবার অধিক আলো স্থানান্তর করতে পারছে না। আর মাত্র আট বছরের মধ্যে ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষক এলিস।
এদিকে ইন্টারনেটের এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব বলে মনে করছেন এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক অ্যান্ড্রু লর্ড। তাঁর দাবি, তথ্য স্থানান্তর করার পরিবর্তে যদি বড় সার্ভার ফার্মে রাখা যায় তবে নেটওয়ার্কের ঝামেলা কমবে।
অ্যান্ড্রু লর্ড বলেন, ‘শিগগিরই ইন্টারনেট ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে না। এখনও এতে প্রচুর ব্যান্ডউইথ বাকি আছে।