জড়িয়ে ধরাই পেশা, তার মাসিক আয় কয়েক লাখ

জড়িয়ে ধরাই পেশা, তার মাসিক আয় কয়েক লাখ।

ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্র্যাবার কিতারোভিচকে মনে আছে? গত বছর ফুটবল বিশ্বকাপের সময় যার কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে ফুটবলার-সহ প্রায় অনেককেই জড়িয়ে ধরতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

কিন্তু তার এই প্রয়াস ছিল সৌজন্যের জন্য। এবার এমন একজন নারীর খোঁজ মিলল, যার কাছে এই জড়িয়ে ধরাটাই পেশা। আর এভাবে তিনি মাসে প্রায় কয়েক লাখ টাকা আয় করছেন।
ওই নারীর নাম রবিন স্টেইন। তিনি থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি একজন পেশাদার কাডলিস্ট। তার কাজই হচ্ছে জড়িয়ে ধরা। নিজের নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। ওই সাইটের মাধ্যমে তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তারপর গ্রাহক ঠিক হয়ে গেলে তাদের সঙ্গে এক থেকে চার ঘণ্টা সময় কাটান। এই সময়ে তার কাজ হল শুধু গ্রাহকদের জড়িয়ে ধরা। কখনও সামনে থেকে জড়িয়ে ধরেন। কখনও বা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেন।

এ জন্য তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে নেন ৮০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬ হাজার ৭১৮ টাকা। এভাবে তিনি প্রতি সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা গ্রাহকদের সঙ্গে সময় কাটান। আর এতে মাসে তার আয় হয় কয়েক লাখ টাকা। কিন্তু তিনি কেন এমন কাজ করেন? রবিন স্টেইনের কথায়, এখন সকলেই ব্যস্ত। ব্যস্ততার জন্য একটু একটু করে আত্মীয়-পরিজনদের থেকে সরে যাচ্ছেন অনেকেই।

মনের মধ্যে ভিড় করছে একাকীত্ব, হতাশা। আর তা দূর করতেই এই পদ্ধতির সাহায্য নিতে চান অনেকে। তারাই আসেন রবিনের কাছে। পুরুষ-নারী, কিশোর-কিশোরী থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলের জন্যই রবিন যেন উজার।

তার কথায়, পুরো বিষয়টিই বৈজ্ঞানিক। যেমন সামনে থেকে জড়িয়ে ধরাকে বলে কাডলিং। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরার নাম স্নুপিং। আর জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়াকে বলা হয় স্নুগলিং। এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেই মানুষের একাকীত্ব কাটাতে সাহায্য করছেন বলে মন্তব্য করেন রবিন। তবে সঙ্গে একটা শর্তও রাখেন। আগেই তিনি গ্রাহককে জানিয়ে দেন যে সেশনের সময় তিনি পুরো পোশাকেই থাকবেন।

রবিনের প্রেমিকও বিষয়টি জানেন। আর এ বিষয়ে তার কোনো আপত্তিও নেই। প্রেমিককেও সপ্তাহের দশ ঘণ্টা এভাবে জড়িয়ে ধরেন তিনি। আর পোষ্য বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটান সপ্তাহের সাত ঘণ্টা। তার মাঝেই অন্যদের একাকীত্ব কাটান রবিন। জিনিউজ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.